প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অনন্ত জলিল ও বর্ষা জুটির প্রথম ছবি ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’-এর পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী। ছবিটি ২০১০ সালে মুক্তি পায়। অজ্ঞাত কারণে অনন্ত জলিল ও ইফতেখার চৌধুরীর মধ্যে বিভাজন বতৈরি হয়। নায়ক পরিচালকের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়, ১০ বছর পর ইফতেখার ও অনন্তের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। তারা আবারও এক হলেন। অনন্তের নতুন ছবি ‘দিন: দ্য ডে’র শুটিং-এ তুরস্কে গিয়েছিলেন ইফতেখার। ছবিটির নির্মাণে অনেক সহযোগিতা করেছেন তিনি।
এদিকে ৭ ডিসেম্বর রাতে ইফতেখার চৌধুরী প্রযোজিত ও পরিচালিত ‘মুক্তি’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে যোগ দেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। সেখানে তাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে জানান অনন্ত। কিন্তু এসব ভুল বোঝাবুঝিটা আরো প্রকট হলো, সম্পর্কের বিভাজন আরো বড় হলো, অন্তরালে মেরুকরণ যে দীর্ঘায়িত হলো তা একটি সামনে এলেও নেত্রী- দ্য লইডার ছবিকে কেন্দ্র করে।
ইফতেখার চৌধুরীকে ছবিটি পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ছবিটি ছেড়ে দিয়েছেন ইফতেখার চৌধুরী। আর অনন্ত জলিল বলছেন তার ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি।
ডিসেম্বরেই অনন্ত জলিল বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে ইফতেখার ভাই আমাদের সঙ্গে তুর্কিতে গিয়েছিলেন এবং উনি আমাদের নতুন সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র শুটিংয়ে অনেক হেল্প করেছেন। ইফতেখার ভাইয়ের বড় যোগ্যতা হলো, তিনি একসঙ্গে সব বিষয়ে পারদর্শী। তিনি ক্যামেরা বোঝেন, অ্যাকশন বোঝেন, গ্রাফিক্স বোঝান, নিজে এডিট করতে পারেন তাছাড়া স্ক্রিপ্টও লেখেন। সাধারণত একজন পরিচালক এতকিছু একসঙ্গে করতে পারেন না।’
মাত্র এক মাসের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিকি তো হয়ইনি, বরঞ্চ সেটা বেড়েছে। অন্তত দুজনার কথাতে সেটা স্পষ্ট।
ইফতেখার চৌধুরী বলছেন, নেত্রী- দ্য লিডার সিনেমার ডিরেক্টর হিসাবে যারা আমার নাম তুলেছেন তাদের বলছি যে,নেত্রী- দ্য লিডার সিনেমা আমার পরিচালনা করার কথা ছিল কিন্তু ‘মুক্তি’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ততার কারনে আমি নেত্রী- দ্য লিডার এর কাজ ছেরে দিতে বাধ্য হয়েছি। ‘মুক্তি’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারি নাই। “মুক্তি” শেষ করেই “লন্ডন লাভ “ সিনমার কাজ শুরু করতে হবে। অতএব অনেক বেশি ব্যস্ততার কারনে নেত্রী- the leader পরিচালনা করছি না। সঠিক সময়ে বিষয়টি জানাতে না পেরে আমি দুঃখিত।
তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই অনন্ত জলিল ভাইয়ের সাথে আমার আরো একটা নতুন ফিল্ম এ কাজ হবে। সময় মতো বাকি তথ্যগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি অবশ্য অনন্ত জলিল ও বর্ষাকে ভাই ও আপা সম্বোধন করেছেন।
এদিকে অনন্ত জলিল নিজের ফেসবুকে ইফতেখার চৌধুরীর বক্তব্য নাকচ করে দিলেন। অনন্ত বলছেন, ছবির নাম ‘নেত্রী : দ্য লিডার’। পরিচালনায় থাকবেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় নির্মাতা উপেন্দ্র মাধব, বাংলাদেশ থেকে আমি (অনন্ত জলিল) এবং তুরস্ক থেকে আরও একজন পরিচালক।
খোঁজ দ্য সার্চ ছবির মাধ্যমে আলোচনায় আসা এই অভিনেতা ও গার্মেন্ট ব্যবসায়ী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যেখানে উল্লেখ রয়েছে, ‘ব্যস্ততার জন্য অনন্তর ছবি ছেড়ে দিলেন ইফতেখার চৌধুরী।’ তার প্রতি সম্মান রেখে এ বিষয়ে আমি পরিস্কার করে বলতে চাই ‘নেত্রী : দ্য লিডার” ছবিটি পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে কারও সঙ্গে কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি, এমন কী ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গেও নয়। মৌখিকভাবে বলা কোনো কিছু চুক্তি নয়।
অনন্ত জলিল বলছেন, ‘নেত্রী : দ্য লিডার’ একটি আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট। তাই অফিসিয়ালি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই ছবিটি আমি পরিচালনা করছি, বা ব্যস্ততার কারণে ছেড়ে দিয়েছি, এটা বলা যায় না। আর যেখানে কোনো চুক্তিই হয়নি, সেখানে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ই আসে না। সুতরাং, এ ধরনের ভুল তথ্যে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।