প্রথমবার্তা প্রতিবেদকঃপ্রতিদিনের মতো করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে লন্ডনের হাসপাতালে যান ডা. ইরফান হালিম। করোনাকালের দুই বছর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে এবার নিজেই তাতে আক্রান্ত হন। ১০ সেপ্টম্বর থেকে দুই সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর মারা যান জনিপ্রয় এ চিকিৎসক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৪৫ বছর।
বিবিসির খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে করেনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর ইরফান হালিম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে থাকেন। দীর্ঘ চার মাস পর্যন্ত তিনি স্ত্রী ও চার সন্তানের সঙ্গে সাক্ষাত না করে কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে দীর্ঘ ২৫ বছরের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। এ সময় তিনি দুই লাখ ৫০ হাজার রোগীর চিকিৎসা করেছেন।
জনপ্রিয় এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা গভীর শোক জানান ও তাদের স্মৃতিচারণ করেন। পরবর্তীতে সুইন্ডন হাসপাতাল থেকে লন্ডনের রয়্যাল ব্রম্পটন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে নেওয়া হয়।
তার স্ত্রী সায়লা হালিম স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জানান, ‘ইরফান তার কোলে ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ মারা গেছেন। একটু কথা লিখতে আমার কত কষ্ট হচ্ছে তা আমি জানি। ইরফান, তুমি আমাকে তোমার স্ত্রী হিসেবে দুর্দান্ত ১৫ বছর দিয়েছ। চারটি সুন্দর সন্তান ও চমৎকার স্মৃতি দিয়েছে যা আমাকে পৃথিবীতে বাকি দিন টিকে থাকতে সাহায্য করবে।’
ইরফান আরো বলেন, ‘ইরফান, তুমি শুধু আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুই ছিলে না। বরং আমাদের সব বাচ্চা ও আরও অনেকেরই ভালো বন্ধু ছিলে। তুমি শান্তিতে থাকো।’
ইরফানের বা্বা কামাল হালিমও একজন চিকিৎসক ছিলেন। তারা সৌদি আরবে রিয়াদে বড় হয়েছেন। তিনিও কয়েক সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের মৃত্যুতে চিকিৎসক পরিবার কঠিন দিনের মুখোমুখী হন। গো ফান্ড মি পেজের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের সহায়তায় এক লাখ পাউন্ডের মধ্যে ইতিমধ্যে ৯০ হাজার পাউন্ড অর্থ সংগৃত হয়।
সূত্র : বিবিসি