ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৪ বার দেখা হয়েছে

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর বিএনপি পরিকল্পিত হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি করেন।



হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কীভাবে পুলিশের ওপর হামলা ও তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তা আপনারা দেখেছেন। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। গত পরশু (বৃহস্পতিবার) রাতে বিআরটিসি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আরও গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। আমরা বহু আগে থেকেই বলেছিলাম, বিএনপি সমাবেশ না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।’


তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল ৭ ডিসেম্বর দুপুর থেকে তারা নয়াপল্টনে জমায়েত হতে থাকে। এরপর নয়াপল্টনের একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ করা হয়: আপনারা দয়া করে রাস্তার একটি লেন যাতে চালু থাকে, সেই ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ মতিঝিল রমনা এলাকার ডিসি হায়াত সেখানে নিজে যান। যানবাহন চলাচলে রাস্তার একটি লেন চালু রাখতে তিনি যখন অনুরোধ করছিলেন, তখন তাকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তার দেহরক্ষীকে দা দিয়ে কোপ দেয়া হয়। সেখান থেকে শুরু।’


‘ডিসি হায়াত, তার দেহরক্ষীসহ মোট আট পুলিশ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তাদের বরবার বলা হয়েছে, জনসমাবেশ করতে মাঠ ব্যবহার করতে। সারা দেশে মাঠ ব্যবহার করে তারা সমাবেশ করেছে, যাতে সরকার সার্বিক সহায়তা করেছে। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করা ছাড়া সেখানে অন্য কিছু ঘটেনি। কিন্তু সেই অনুরোধ তারা রাখেনি,’ বলেন মন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ ঢুকলে অবিস্ফোরিত ১৫টি ককটেল, দুই লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, ডেকচি, হাঁড়ি-পাতিল পায়। এ ছাড়া নগদ দুই লাখ টাকাও সেখানে পাওয়া যায়।


তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবসময় বলে আসছে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। বড় সমাবেশ করতেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু যখন সেখানে তারা যেতে অনীহা প্রকাশ করে, তখন মিরপুর পল্লবী মাঠ, কালসী মাঠ, ইজতেমা ও বাণিজ্য মেলার মেলার মাঠ ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। গতকাল সেখানে তারা জমায়েত হতে শুরু করে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা সত্যিকার অর্থে দেশে গন্ডগোল পাকাতে চেয়েছে। নয়াপল্টনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি নাটক করেছেন। এতদিন তিনি হুংকার দিচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি যখন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন, তখন আশপাশে কেউ ছিল না। তাদের নেতাকর্মীও কেউ ছিল না, সাংবাদিকরা ছাড়া।’


মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সেখানে অনেক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে একজন সাধারণ নাগরিক মারা গেছেন। সেটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আজ পাওয়া যাবে। পুলিশ ধারণা করছে, তিনি ককটেল বিস্ফোরণে মারা গেছেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলেই এ বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে।’


‘এভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা ও আগুন-সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বিএনপিকে কখনো বাধা দিইনি। তারা দেশে সফলভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে ৯টি সমাবেশ করেছে। সরকার তাতে সহায়তা করেছে। আওয়ামী লীগকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সংযত আচরণ করতে, যাতে বিএনপির উসকানির মুখেও ধৈর্য ধরে। কিন্তু তারা (বিএনপি) আসলে দেশে শান্তি চায় না। যে কারণে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না,’ যোগ করেন মন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির যেসব নেতা বড় গলায় কথা বলেছেন, তাদের সবাই অগ্নিসন্ত্রাস ঘটাতে অর্থদাতা, হুকুমদাতা ও অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি। রিজভী সাহেব গতকাল মামলার পরোয়ানা নিয়ে নয়াপল্টনে গেছেন। আরও বেশ কয়েকজন গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। পুলিশের নাকের ডগায় যখন পরোয়ানাভুক্ত আসামি ঘুরে বেড়ায়, তখন তাদের গ্রেফতার করা পুলিশের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। কোনো নেতা যখন ককটেল নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে বসে থাকে, তখন তার বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হয়। সরকার সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে।’


এ ঘটনার পর বিবৃতি দিয়ে সরকারকে সংযত হওয়ার কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত, মার্কিন সরকার কোনো বিবৃতি দেয়নি। সেখানে নিয়মিত ব্রিফিং হয় এবং বিএনপি ঘরানার একজন সাংবাদিক, যিনি আগে খালেদা জিয়ার গণমাধ্যম শাখায় কাজ করতেন, তিনি সেখানে প্রশ্ন করেছেন, সেই প্রশ্নের জবাব এসেছে। এটা কোনোভাবেই মার্কিন সরকারের কোনো বিবৃতি না।


তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি গতকালের ঘটনা ঘটিয়েছে। আগে থেকেই তারা উসকানি দিয়ে আসছে। গতকালের সব ঘটনার জন্য বিএনপি ও তাদের নেতারা দায়ী।


বিএনপি মহাসচিবকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না—এ অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল সেই অফিসে ককটেল, লাঠিসোঁটা পাওয়া গেছে। নানা ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে, যাতে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। কাজেই আরও অতিরিক্ত তদন্ত করতে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা ও উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।


১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে পুলিশ কিংবা অন্য বাহিনীর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো বার্তা সরকারের কাছে আছে কি না–জনতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাব। আমাদের কাছে অন্য কোনো বার্তা নেই।’

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

পোষ্ট হয়েছে : ০৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর বিএনপি পরিকল্পিত হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি করেন।



হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কীভাবে পুলিশের ওপর হামলা ও তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তা আপনারা দেখেছেন। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। গত পরশু (বৃহস্পতিবার) রাতে বিআরটিসি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আরও গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। আমরা বহু আগে থেকেই বলেছিলাম, বিএনপি সমাবেশ না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।’


তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু গতকাল ৭ ডিসেম্বর দুপুর থেকে তারা নয়াপল্টনে জমায়েত হতে থাকে। এরপর নয়াপল্টনের একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ করা হয়: আপনারা দয়া করে রাস্তার একটি লেন যাতে চালু থাকে, সেই ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থাৎ মতিঝিল রমনা এলাকার ডিসি হায়াত সেখানে নিজে যান। যানবাহন চলাচলে রাস্তার একটি লেন চালু রাখতে তিনি যখন অনুরোধ করছিলেন, তখন তাকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তার দেহরক্ষীকে দা দিয়ে কোপ দেয়া হয়। সেখান থেকে শুরু।’


‘ডিসি হায়াত, তার দেহরক্ষীসহ মোট আট পুলিশ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তাদের বরবার বলা হয়েছে, জনসমাবেশ করতে মাঠ ব্যবহার করতে। সারা দেশে মাঠ ব্যবহার করে তারা সমাবেশ করেছে, যাতে সরকার সার্বিক সহায়তা করেছে। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করা ছাড়া সেখানে অন্য কিছু ঘটেনি। কিন্তু সেই অনুরোধ তারা রাখেনি,’ বলেন মন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ ঢুকলে অবিস্ফোরিত ১৫টি ককটেল, দুই লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, ডেকচি, হাঁড়ি-পাতিল পায়। এ ছাড়া নগদ দুই লাখ টাকাও সেখানে পাওয়া যায়।


তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবসময় বলে আসছে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটাবে। বড় সমাবেশ করতেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু যখন সেখানে তারা যেতে অনীহা প্রকাশ করে, তখন মিরপুর পল্লবী মাঠ, কালসী মাঠ, ইজতেমা ও বাণিজ্য মেলার মেলার মাঠ ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। গতকাল সেখানে তারা জমায়েত হতে শুরু করে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা সত্যিকার অর্থে দেশে গন্ডগোল পাকাতে চেয়েছে। নয়াপল্টনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি নাটক করেছেন। এতদিন তিনি হুংকার দিচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি যখন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন, তখন আশপাশে কেউ ছিল না। তাদের নেতাকর্মীও কেউ ছিল না, সাংবাদিকরা ছাড়া।’


মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সেখানে অনেক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে একজন সাধারণ নাগরিক মারা গেছেন। সেটির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আজ পাওয়া যাবে। পুলিশ ধারণা করছে, তিনি ককটেল বিস্ফোরণে মারা গেছেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলেই এ বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে।’


‘এভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা ও আগুন-সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বিএনপিকে কখনো বাধা দিইনি। তারা দেশে সফলভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে ৯টি সমাবেশ করেছে। সরকার তাতে সহায়তা করেছে। আওয়ামী লীগকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সংযত আচরণ করতে, যাতে বিএনপির উসকানির মুখেও ধৈর্য ধরে। কিন্তু তারা (বিএনপি) আসলে দেশে শান্তি চায় না। যে কারণে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সরকার কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না,’ যোগ করেন মন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির যেসব নেতা বড় গলায় কথা বলেছেন, তাদের সবাই অগ্নিসন্ত্রাস ঘটাতে অর্থদাতা, হুকুমদাতা ও অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামি। রিজভী সাহেব গতকাল মামলার পরোয়ানা নিয়ে নয়াপল্টনে গেছেন। আরও বেশ কয়েকজন গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। পুলিশের নাকের ডগায় যখন পরোয়ানাভুক্ত আসামি ঘুরে বেড়ায়, তখন তাদের গ্রেফতার করা পুলিশের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। কোনো নেতা যখন ককটেল নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে বসে থাকে, তখন তার বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হয়। সরকার সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে।’


এ ঘটনার পর বিবৃতি দিয়ে সরকারকে সংযত হওয়ার কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত, মার্কিন সরকার কোনো বিবৃতি দেয়নি। সেখানে নিয়মিত ব্রিফিং হয় এবং বিএনপি ঘরানার একজন সাংবাদিক, যিনি আগে খালেদা জিয়ার গণমাধ্যম শাখায় কাজ করতেন, তিনি সেখানে প্রশ্ন করেছেন, সেই প্রশ্নের জবাব এসেছে। এটা কোনোভাবেই মার্কিন সরকারের কোনো বিবৃতি না।


তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি গতকালের ঘটনা ঘটিয়েছে। আগে থেকেই তারা উসকানি দিয়ে আসছে। গতকালের সব ঘটনার জন্য বিএনপি ও তাদের নেতারা দায়ী।


বিএনপি মহাসচিবকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না—এ অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল সেই অফিসে ককটেল, লাঠিসোঁটা পাওয়া গেছে। নানা ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে, যাতে জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। কাজেই আরও অতিরিক্ত তদন্ত করতে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা ও উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।


১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে পুলিশ কিংবা অন্য বাহিনীর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো বার্তা সরকারের কাছে আছে কি না–জনতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাব। আমাদের কাছে অন্য কোনো বার্তা নেই।’