প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড থেকে চার ভাগে মেট্রো রেলে বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। একটি মেট্রো রেল চলতে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪.২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযুক্ত থাকবে।
গড়ে প্রতি সেকেন্ডে সংযুক্ত থাকবে ৩.৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
মেট্রো রেলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন নিয়ে প্রকল্প নথিতে বলা হয়েছে, মেট্রো রেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উত্তরা ডিপো ও মতিঝিল এলাকায় পৃথক দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে।
মতিঝিল রিসিভিং সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) মানিকনগর গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির দুটি আলাদা সার্কিটের মাধ্যমে এবং উত্তরা রিসিভিং সাবস্টেশনে পিজিসিবির টঙ্গী গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এ ছাড়া ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) উত্তরা গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। সব রিসিভিং সাবস্টেশনে বিকল্প হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার থাকবে।
পাশাপাশি পুরনো বিমানবন্দর এলাকার ডেসকোর ৩৩ কেভি সাবস্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩৩ কেভি বিদ্যুতের সংযোগ থাকবে। ফলে মেট্রো রেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।
তার পরও কোনো কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রো রেলের ‘এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম’ থেকে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ট্রেনটিকে কাছের স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
মেট্রো রেল চললে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে এবং খরচ কত হবে জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল এবং টেলিকমিউনিকেশন ও ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া প্রথমবার্তাকে বলেন, ‘এটা খুবই জটিল প্রশ্ন। ট্রেন যখন চলে, তখন একেক ট্রেন একেক রকম বিদ্যুৎ খরচ করে।
এর পেছনে যুক্তিযুক্ত কারণও রয়েছে। তবে আমাদের পরামর্শকরা একটা ভবিষ্যৎ ধারণা দিয়েছেন, সেখানে বলা হচ্ছে পুরোদমে যখন ২০টি ট্রেন চলাচল শুরু করবে, তখন বছরে ৭০ থেকে ৭২ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল আসবে।
ট্রেন চলাচলের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে ডিপো ও স্টেশনগুলোর জন্য। ফলে শুধু ট্রেন চলাচলে কী পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে, তা আলাদা করে বলা কঠিন। ’