জার্মানি অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলাল
- পোষ্ট হয়েছে : ১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৩৬ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: কয়েক মাস নানা দোলাচলের পর অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনে কমপক্ষে ৩০টি এম১ আব্রাম ট্যাঙ্ক পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজও অন্তত ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্যাংক পাওয়ার খবরে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের সহায়তা তাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে এবং রাশিয়ানদের দখলকৃত এলাকা ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করবে।তবে এমন খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে আরেকটি বড় ধরণের উস্কানি বলে মন্তব্য করেছেন।
ইউরোপজুড়ে ব্যবহৃত লেপার্ড-২ ট্যাংককে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাংকের মডেলের মধ্যে একটি ধরা হয়। এ কারণেই রাশিয়ার নতুন আক্রমণ ঠেকাতে লেপার্ড-২ ট্যাংকে ঝুঁকছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনে যেসব অস্ত্র রয়েছে তার বেশির ভাগই সোভিয়েত ইউনিয়ন বা তার পরবর্তী সময়ের। এই সংকট থেকে উত্তরণেই যুদ্ধে অন্তত ৩০০ ট্যাংক প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন।
মূলত রণাঙ্গনে জার্মানির তৈরি এই ট্যাংকের জুড়ি নেই। এই ট্যাংকের রয়েছে ৫০০ কিমি. পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে অনায়াসে আঘাত করার ক্ষমতা। কর্দমাক্ত-বন্ধুর পথেও সর্বোচ্চ ৬৮ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। প্রধান অস্ত্র হিসেবে সজ্জিত ১২০ মিমি. মসৃণ বোর গান। দুটি সমাক্ষীয় হালকা মেশিনগান রয়েছে এতে।
যুক্তরাষ্ট্রের এম-৪৮ প্যাটনের পরিবর্তে ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে তৈরি এই ট্যাংক অল্প সময়ের মধ্যেই গতিশীলতা, ফায়ারপাওয়ার আর বলিষ্ঠ বর্মের কারণে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন যুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এমনকি অন্যান্য দেশেও বীরত্ব দেখিয়েছে এই ট্যাংক। কসোভো, বসনিয়া, আফগানিস্তান ও সিরিয়াতে শত্রুদের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
লেপার্ড-২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথমসারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে।
এ ট্যাংকের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এ ট্যাংকে নাইটভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার রুক্ষ ভূখণ্ড বা রুক্ষ ভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে।