ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা অভিন্ন মুদ্রা চালু করছে

  • পোষ্ট হয়েছে : ১০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৭ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা প্রতিষ্ঠাসহ বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণের লক্ষ্য নিয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ফলে নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে দেশ দুটি।

 

রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া আর্জেন্টিনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও দা সিলভা লুলার প্রথম বিদেশ সফরেই এই আলোচনা হবে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের লেখা যৌথ এক নিবন্ধে একথা বলা হয়েছে।

 

আর্জেন্টিনার ওয়েবসাইট পারফিলে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমরা আমাদের বিনিময়ের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে, নিয়মগুলোকে সহজ ও আধুনিকীকরণ করতে এবং স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে চাই। রয়টার্স, এপি।

 

অভিন্ন এই মুদ্রার নাম হতে পারে ‘সুর’ (দক্ষিণ)। আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে ও মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এই মুদ্রা কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

 

প্রথমদিকে দুদেশেই (ব্রাজিলের ‘রিয়েল’ ও আর্জেন্টিনার ‘পেসো’) সমমানে থাকবে সুর। ২০১৯ সালেও একবার উভয় দেশের রাজনীতিবিদরা অভিন্ন মুদ্রা চালুর এই ধারণাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সে সময় ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছিল।

 

নিবন্ধে বলা হয়েছে, আমরা একটি অভিন্ন দক্ষিণ আমেরিকান মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা আরও অগ্রসর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা আর্থিক এবং বাণিজ্যিক উভয়ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে এর পরিচালন ব্যয় এবং আমাদের বাহ্যিক ঝুঁকিও হ্রাস করতে পারে।

 

রোববার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে দেওয়া এক বিবৃতিতে আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী সার্জিও মাসা বলেন, রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ‘ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস’র (সিইএলএসি) সম্মেলনে এই এক মুদ্রা নীতির ঘোষণা দেওয়া হবে।

 

প্রথম ধাপে দুদেশের মধ্যে এটি শুরু হলেও অদূর ভবিষ্যতে ল্যাটিন আমেরিকার সব দেশকেই এক মুদ্রার ছাতায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর তা সফল হলেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুদ্রা ইউনিয়ন হবে ল্যাটিন আমেরিকা। এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ইউরো মুদ্রার জন্য অন্তত ৩৫ বছর ধৈর্য ধরতে হয়েছিল ইউরোপকে।

 

রয়টার্স বলছে, নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর ধারণা মূলত গত বছর ফার্নান্দো হাদ্দাদ এবং গ্যাব্রিয়েল গালিপোলোর লেখা একটি নিবন্ধে উত্থাপিত হয়েছিল। ফার্নান্দো হাদ্দাদ বর্তমানে ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী এবং গ্যাব্রিয়েল তার নির্বাহী সচিব। গত বছরের এই প্রচারণার সময় তারা বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাকেও উল্লেখ করেছিলেন।

 

দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের প্রধান ও সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার আর্জেন্টিনা। তাই চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঐতিহ্য বজায় রেখে লুলা তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য আর্জেন্টিনাকে বেছে নেন।

 

অন্যদিকে প্রতিবেশী আর্জেন্টিনাও ওই সফরটিকে ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস (সিইএলএসি) গোষ্ঠীতে ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তন হিসাবে চিহ্নিত করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর নির্দেশে ব্রাজিল ২০১৯ সালে এই গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা অভিন্ন মুদ্রা চালু করছে

পোষ্ট হয়েছে : ১০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা প্রতিষ্ঠাসহ বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণের লক্ষ্য নিয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ফলে নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে দেশ দুটি।

 

রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া আর্জেন্টিনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও দা সিলভা লুলার প্রথম বিদেশ সফরেই এই আলোচনা হবে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের লেখা যৌথ এক নিবন্ধে একথা বলা হয়েছে।

 

আর্জেন্টিনার ওয়েবসাইট পারফিলে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমরা আমাদের বিনিময়ের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে, নিয়মগুলোকে সহজ ও আধুনিকীকরণ করতে এবং স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে চাই। রয়টার্স, এপি।

 

অভিন্ন এই মুদ্রার নাম হতে পারে ‘সুর’ (দক্ষিণ)। আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে ও মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এই মুদ্রা কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

 

প্রথমদিকে দুদেশেই (ব্রাজিলের ‘রিয়েল’ ও আর্জেন্টিনার ‘পেসো’) সমমানে থাকবে সুর। ২০১৯ সালেও একবার উভয় দেশের রাজনীতিবিদরা অভিন্ন মুদ্রা চালুর এই ধারণাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সে সময় ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছিল।

 

নিবন্ধে বলা হয়েছে, আমরা একটি অভিন্ন দক্ষিণ আমেরিকান মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা আরও অগ্রসর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা আর্থিক এবং বাণিজ্যিক উভয়ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে এর পরিচালন ব্যয় এবং আমাদের বাহ্যিক ঝুঁকিও হ্রাস করতে পারে।

 

রোববার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে দেওয়া এক বিবৃতিতে আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী সার্জিও মাসা বলেন, রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ‘ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস’র (সিইএলএসি) সম্মেলনে এই এক মুদ্রা নীতির ঘোষণা দেওয়া হবে।

 

প্রথম ধাপে দুদেশের মধ্যে এটি শুরু হলেও অদূর ভবিষ্যতে ল্যাটিন আমেরিকার সব দেশকেই এক মুদ্রার ছাতায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর তা সফল হলেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুদ্রা ইউনিয়ন হবে ল্যাটিন আমেরিকা। এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ইউরো মুদ্রার জন্য অন্তত ৩৫ বছর ধৈর্য ধরতে হয়েছিল ইউরোপকে।

 

রয়টার্স বলছে, নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর ধারণা মূলত গত বছর ফার্নান্দো হাদ্দাদ এবং গ্যাব্রিয়েল গালিপোলোর লেখা একটি নিবন্ধে উত্থাপিত হয়েছিল। ফার্নান্দো হাদ্দাদ বর্তমানে ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী এবং গ্যাব্রিয়েল তার নির্বাহী সচিব। গত বছরের এই প্রচারণার সময় তারা বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাকেও উল্লেখ করেছিলেন।

 

দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের প্রধান ও সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার আর্জেন্টিনা। তাই চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঐতিহ্য বজায় রেখে লুলা তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য আর্জেন্টিনাকে বেছে নেন।

 

অন্যদিকে প্রতিবেশী আর্জেন্টিনাও ওই সফরটিকে ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস (সিইএলএসি) গোষ্ঠীতে ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তন হিসাবে চিহ্নিত করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর নির্দেশে ব্রাজিল ২০১৯ সালে এই গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।