1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
হরমোন সমস্যা অন্তঃসত্ত্বা নারীর
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪০ রাত

হরমোন সমস্যা অন্তঃসত্ত্বা নারীর

  • পোষ্ট হয়েছে : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

অজ্ঞতা ও সংকোচের কারণে স্বাস্থ্যসেবা কম নেন, ফলে বাড়ে জটিলতা। পুরুষের তুলনায় নারীরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন কম।হরমোন বিষয়ে নারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।

 

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা ইত্যাদি নানা রোগ নারীর দৈনন্দিন জীবন, প্রজননজীবন, নিরাপদ মাতৃত্ব ও সুস্থ সন্তান প্রসবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।

 

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না করলে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুঝুঁকি যেমন বেড়ে যায় তেমনি বেড়ে যায় মায়ের মৃত্যুঝুঁকিও। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চরক্তচাপ হয়ে গেলে তখন সে নারীদের জীবনের ঝুঁকি থাকে ও  গর্ভস্থ সন্তানও ঝুঁকিতে পড়ে যায়।

 

গর্ভধারণ এর জন্য, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষিক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সন্তানের জন্য জরায়ুতে পরিবেশ তৈরি করতে HCG (হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন)  ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরনসহ যে হরমোনগুলো কাজ করে, এ হরমোনগুলো রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।  এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কতটা কম ঝুঁকিতে রাখা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ডায়াবেটিস জেনেটিক কারণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, খাদ্যে ভেজাল, স্থূলতা, বেশি বয়সে বিয়ে,পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদিও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

 

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডারদের এ বিষয়ে কাজে লাগাতে হবে, যাতে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আসা গর্ভবতী নারীদের ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য উৎসাহিত করেন।

 

অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, ধুমপান থেকে দূরে থাকুন। কারণ এই সময় এসব জিনিস অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে বেশি ক্ষতি করে বাচ্চার।

 

অন্তঃসত্ত্বার কারণে শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। যার জন্য বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা, শারীর এ দুর্বলতা দেখা যেতে পারে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে।

 

হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভবস্থায় শুরুর দিকে খারাপ লাগা, ভালো লাগা বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি হতে পারে।
ধৈর্যের সঙ্গে সমস্যা মোকাবিলা করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত।

 

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন ভারি কাজ না করাই ভালো এবং প্রথম তিন মাস শুধু ভিটামিন ফলিক এসিড খাওয়া যেতে পারে।
সঙ্গে অবশ্য একটু বিশ্রামে থাকতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

 

৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো সবচেয়ে ভালো।  মনটাকে প্রফুল্ল রাখতে হবে, সঙ্গে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।

এ সময় পরিবারের অন্য মানুষজনকে অবশ্যই সহায়তা করতে হবে। সাহস যোগাতে হবে পারিবারিক সামাজিকভাবে সবাই যদি সহায়তা করে তাহলেই সুস্থ শিশুর জন্ম হবে। মনে রাখতে হবে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।

লেখক: সহকারী পরিচালক, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর