আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।
জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন কার্যক্রম পরিচালনাকারী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ১৯১টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিলসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ১৬২টি, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল ১৬৯টি এবং টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টাল ১৫টিসহ মোট ৩৪৬টি অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান নীতিমালা, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সব নীতিমালার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের মান যথাযথ আছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষে অনুদান প্রদান, যৌথ প্রযোজনার ছাড়পত্র প্রদান ও চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা বন্ধে আন্তরিক ও নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যৌথ প্রযোজনা ও অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রিভিউ কমিটিতে এসব বিষয়ে লক্ষ রাখা হয়ে থাকে।
সকল চলচ্চিত্র মুক্তির আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক। সমাজে নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করিতে পারে এমন দৃশ্য কর্তন ও সংশোধনসহ সেন্সর নীতিমালা অনুসরণপূর্বক কমিটি কর্তৃক ছাড়পত্র প্রদান করা হচ্ছে।