1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ রাত

পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার

  • পোষ্ট হয়েছে : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল অমর একুশে বইমেলার। বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী এ বইমেলা বুধবার বিকালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা মাদকে না জড়ায়। বাংলা ভাষার সব বই অনুবাদের ব্যবস্থা করতে হবে।

 

অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ এর স্লোগান, ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। এবার বইমেলা সুবিশাল বিস্তৃতি নিয়ে হলেও আঙ্গিকগত কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। বইয়ের সব প্যাভিলিয়ন ও স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বাংলা একাডেমির মূল অংশেই থাকছে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অংশে থাকছে সব খাবারের দোকান, নামাজের স্থান, টয়লেট। এবার কোনো অবস্থাতেই মেলার বিভিন্ন অংশে খাবারের দোকান করতে দেওয়া হবে না।

 

এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২ প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯ প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। লিটলম্যাগ চত্বরে ঠাঁই পেয়েছে ১৫৩টি স্টল।

 

ছুটির দিন ছাড়া মেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শক, ক্রেতা, পাঠকদের রাত সাড়ে ৮টার পর মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছুটির দিন বইমেলা বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।

 

শিশুচত্বরটি এবার মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডানদিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাক্সিক্ষত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।

 

বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসাবে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জমাকৃত নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ, তথ্য এবং বইমেলার মানচিত্র পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হবে।

 

বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহিদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চানখাঁরপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকছে।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর