ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না পাকিস্তান অর্থের অভাবে

  • পোষ্ট হয়েছে : ০১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে তলানিতে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে অর্থের অভাবে নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না শাহবাজ সরকার। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসাক দার।

 

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাতে জানা যায়, বর্তমানে বৈদাশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। চলমান এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছে দেশটি।

 

ঋণ পেতে সংস্থাটির সব শর্ত মানতে রাজি পাকিস্তান। তবে শর্তের বেড়াজালে টানা দশ দিন সংস্থাটির প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য পাকিস্তান সফর করলেও চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ঋণ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত চুক্তিতে না পৌঁছেই শুক্রবার পাকিস্তান ছাড়ে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্ত মানতে রাজি সরকার। আইএমএফের প্রতিনিধি দল দেশ ত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরই এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।

 

এদিকে দেশটির অধিকাংশ পাম্পে পাওয়া যাচ্ছে না পেট্রল। খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জ্বালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতা ও মজুতকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারির মধ্যেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি।

 

এ বিষয়ে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী খুররম দস্তগীর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানে আর ২০ দিন চলার মতো জ্বালানি মজুদ আছে। এ কথা জানানোর পর থেকেই পাম্পগুলোতে দেখা দেয় সংকট। শুক্রবারও পেট্রল নিতে এসে পাম্প থেকে খালি হাতে ফিরে যান বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এরই মধ্যে লাহোরের বেশির ভাগ পাম্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

 

আর বিভিন্ন জ্বালানি ডিপোতে অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে পাকিস্তানের খনিজসম্পদমন্ত্রী মুসাদিক মালিক বলেন, পাঞ্জাবের দুই জেলায় ৯০০টিরও বেশি জায়গায় বুধবার অভিযান চালানো হয়েছে। এতে তেল মজুত করার অভিযোগে পেট্রল পাম্পগুলোকে লক্ষাধিক রুপি জরিমানা করা হয়েছে।

 

চলমান সংকটের জন্য জ্বালানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ডিলাররা। তবে দায় অস্বীকার করে ডিলারদের ওপর পাল্টা দায় চাপিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না পাকিস্তান অর্থের অভাবে

পোষ্ট হয়েছে : ০১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে তলানিতে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে অর্থের অভাবে নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না শাহবাজ সরকার। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসাক দার।

 

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাতে জানা যায়, বর্তমানে বৈদাশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। চলমান এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছে দেশটি।

 

ঋণ পেতে সংস্থাটির সব শর্ত মানতে রাজি পাকিস্তান। তবে শর্তের বেড়াজালে টানা দশ দিন সংস্থাটির প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য পাকিস্তান সফর করলেও চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ঋণ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত চুক্তিতে না পৌঁছেই শুক্রবার পাকিস্তান ছাড়ে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্ত মানতে রাজি সরকার। আইএমএফের প্রতিনিধি দল দেশ ত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরই এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।

 

এদিকে দেশটির অধিকাংশ পাম্পে পাওয়া যাচ্ছে না পেট্রল। খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জ্বালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতা ও মজুতকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারির মধ্যেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি।

 

এ বিষয়ে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী খুররম দস্তগীর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানে আর ২০ দিন চলার মতো জ্বালানি মজুদ আছে। এ কথা জানানোর পর থেকেই পাম্পগুলোতে দেখা দেয় সংকট। শুক্রবারও পেট্রল নিতে এসে পাম্প থেকে খালি হাতে ফিরে যান বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এরই মধ্যে লাহোরের বেশির ভাগ পাম্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

 

আর বিভিন্ন জ্বালানি ডিপোতে অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে পাকিস্তানের খনিজসম্পদমন্ত্রী মুসাদিক মালিক বলেন, পাঞ্জাবের দুই জেলায় ৯০০টিরও বেশি জায়গায় বুধবার অভিযান চালানো হয়েছে। এতে তেল মজুত করার অভিযোগে পেট্রল পাম্পগুলোকে লক্ষাধিক রুপি জরিমানা করা হয়েছে।

 

চলমান সংকটের জন্য জ্বালানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ডিলাররা। তবে দায় অস্বীকার করে ডিলারদের ওপর পাল্টা দায় চাপিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।