ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবিসি’র দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে ‘অভিযান’, সংবাদকর্মীদের ফোন জব্দ

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৭ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ (বিবিসি)-এর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন কর কর্মকর্তারা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসকে (এএফপি) বিবিসি’র এক কর্মকর্তা জানান, অভিযান চালানোর সময় অফিসে উপস্থিত থাকা সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন জমা রেখে দেন আয়কর কর্মকর্তারা। তার পর চলে তল্লাশি। কিন্তু কেন আচমকা বিবিসির অফিসে আয়কর কর্মকর্তারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযান চালানোর সময় পুলিশ দিল্লিতে বিবিসি ভবন ঘেরাও করে রাখে। ভবনে কেউ যাতে প্রবেশ বা ভবন থেকে বের হতে না পারে তার  জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পরিএ অভিযান চালানো হলো।

কয়েক সপ্তাহ আগেই দুই পর্বে প্রকাশিত হয় বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, ওই সময় ২০০২ সালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা গবেষণা করে এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমটি। এই তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।

সব ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্যচিত্রটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। টুইটার, ইউটিউবকেও ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইট এবং ভিডিয়ো মুছে ফেলতে বলা হয়। তা নিয়ে ভারতে তোলপাড় পড়ে যায়।

তারপরও সরকারি ফরমান উপেক্ষা করে নরেন্দ্র মোদি শিবির বিভিন্ন জায়গায় তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে  তথ্যচিত্রটি দেখানো হলে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্তীরা। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) ওই তথ্যচিত্রের নির্মাতার দিল্লির এবং মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান চলে।

নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে মোদি সরকার সামগ্রিক বিরোধিতাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই বিবিসির অফিসে আয়কর অভিযান অনেকগুলি প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।  বিরোধী দল কংগ্রেস এই বিষয়টি নিয়ে টুইটও করে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

বিবিসি’র দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে ‘অভিযান’, সংবাদকর্মীদের ফোন জব্দ

পোষ্ট হয়েছে : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রথমবার্তা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ (বিবিসি)-এর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন কর কর্মকর্তারা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসকে (এএফপি) বিবিসি’র এক কর্মকর্তা জানান, অভিযান চালানোর সময় অফিসে উপস্থিত থাকা সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন জমা রেখে দেন আয়কর কর্মকর্তারা। তার পর চলে তল্লাশি। কিন্তু কেন আচমকা বিবিসির অফিসে আয়কর কর্মকর্তারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযান চালানোর সময় পুলিশ দিল্লিতে বিবিসি ভবন ঘেরাও করে রাখে। ভবনে কেউ যাতে প্রবেশ বা ভবন থেকে বের হতে না পারে তার  জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পরিএ অভিযান চালানো হলো।

কয়েক সপ্তাহ আগেই দুই পর্বে প্রকাশিত হয় বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, ওই সময় ২০০২ সালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা গবেষণা করে এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমটি। এই তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।

সব ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্যচিত্রটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। টুইটার, ইউটিউবকেও ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইট এবং ভিডিয়ো মুছে ফেলতে বলা হয়। তা নিয়ে ভারতে তোলপাড় পড়ে যায়।

তারপরও সরকারি ফরমান উপেক্ষা করে নরেন্দ্র মোদি শিবির বিভিন্ন জায়গায় তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে  তথ্যচিত্রটি দেখানো হলে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্তীরা। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) ওই তথ্যচিত্রের নির্মাতার দিল্লির এবং মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান চলে।

নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে মোদি সরকার সামগ্রিক বিরোধিতাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই বিবিসির অফিসে আয়কর অভিযান অনেকগুলি প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।  বিরোধী দল কংগ্রেস এই বিষয়টি নিয়ে টুইটও করে।