ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওয়াজ শরিফ কেন পাকিস্তানে ফিরছেন না?

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে, লন্ডনে অবস্থান করছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের সময় তিনি নিজেই সেখানে গিয়েছিলেন, নাকি ‘চিকিৎসার জন্য’ পাঠানো হয়েছিল- সেই রহস্যের জট আজও খোলেনি।

 

পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ৯০ দিনের মধ্যে কিংবা সমগ্র দেশে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা; তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। সে যাই হোক, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে তারই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ তথা পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন জোট। আর প্রধানমন্ত্রী হলেন তার ভাই শাহবাজ শরিফ। তারপরও দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

 

তার সিদ্ধান্তহীনতার সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো আইনি বাধা। অর্থাৎ তাকে নির্বাচনে আজীবন অযোগ্য ঘোষণা এবং পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

 

নিজে দেশে ফেরার পরিবর্তে ক্যারিশম্যাটিক কন্যা মরিয়ম নওয়াজকে পাঠিয়েছেন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী। অনেকে মনে করেন, শরিফের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হবেন মরিয়ম। লন্ডনে বাবার কাছে তিন মাস থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পর তিনি দলের ভেতর সিনিয়র কিছু নেতা এবং ফায়ারব্র্যান্ড বিরোধী নেতা ইমরান খানের দিক থেকে কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।

 

লন্ডন থেকে পাকিস্তানে আসার আগে মিয়া সাহেব তাকে দলের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সংগঠক হিসেবে নিয়োগ করেছেন; কিন্তু এমন পদক্ষেপের ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মরিয়ম নওয়াজ। কারণ দলের কিছু প্রবীণ নেতা তাকে স্বাগত তো জানায়নি, উল্টো কেউ কেউ প্রকাশ্যে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

 

পিএমএল-এনের অভিজ্ঞ নেতারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, গত বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা এবং পরবর্তীতে সরকার গঠন দলের জন্য সবচেয়ে বড় পরাজয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কারণ এরপর দলের সুনাম তো বাড়েইনি, উল্টো আগে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল সেটাতেও ধস নেমেছে। তার প্রমাণ, গত বছরের বেশিরভাগ উপনির্বাচনে হেরেছে পিএমএল-এন। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ জরিপে ইমরান খানের পিটিআইয়ের জয়ের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।

 

যেসব নেতা সরকার গঠনের বিরুদ্ধে ছিলেন, তাদের মতে এর জন্য নওয়াজ শরিফই দায়ী। তার পক্ষে এখন কিংবা কখনই আর দলকে দাঁড় করানো সম্ভব হবে না। কারণ দলটি এখন সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া মরিয়মও ভিন্নমতাবলম্বীদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন না। সোজা কথা, বল এখন তার (নওয়াজ) কোর্টে। এসব নেতা আরও মনে করছেন, তিনি যদি দেশে না ফিরে লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করেন, তাহলে পিএমএল-এনের যে অবস্থান আছে, সেটাও থাকবে না।

 

ভিন্নমতাবলম্বী নেতারা মনে করছেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহীকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি, সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল, খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সরদার মেহতাব আব্বাসি অথবা সিনিয়র নেতা খাজা সাদ রফিকের দলত্যাগ স্পষ্টতই পার্টিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

 

অপরদিকে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব এমন সময় নিয়েছেন, যখন পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা করেও কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থায় যদি ৯০ দিনের মধ্যে পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে প্রয়াত পারভেজ মোশাররফের অবস্থা হবে নওয়াজ শরিফদের। এর আগে আগামী নির্বাচনের দাবিতে প্রথমে পাঞ্জাব এবং পরে খাইবার পাখতুনখাওয়া বিধানসভা ভেঙে দেয় পিটিআই নেতৃত্বাধীন জোট।

 

এমন প্রেক্ষাপটে মানুষের মনে লক্ষ-কোটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- কেন মিয়া সাহেব দেশে ফেরা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীন? তিনি কি আজীবন অযোগ্য হওয়া এবং দোষী সাব্যস্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ‘সবুজ সংকেত’ পাননি? যদি তাই হয়, তাহলে তিনি কি পদত্যাগের মতো অপ্রীতিকর অথচ অঘোষিত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? কিংবা দেখতে চাচ্ছেন, মরিয়ম তার উত্তরাধিকারের ভার কতটা বহন করতে পারে?

 

দলের অভ্যন্তরে মরিয়মপন্থি কিছু নেতাও স্বীকার করেছেন যে, তাকে দলের নেতৃত্ব দিতে গেলেও মিয়া সাহেবের ফিরে আসা এবং পাঞ্জাব বা দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে দলটি যে ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে- সেটা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

 

বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ এখনো তার আপিলের সম্ভাব্য রাজনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে শঙ্কায় রয়েছেন। তিনি তার দলের কাছ থেকে আইনি মতামতের জন্য যে অপেক্ষা করছেন, সেখানেও সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

লন্ডন থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছেন নওয়াজ। আপিলের বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে যে খুব বেশি সুবিধা পাবেন, সে বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী নন তিনি। অপরদিকে সাধারণ নির্বাচনের আগে পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ইমরান খানের চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে বুস্টিং হিসেবে (পিটিআইয়ের জন্য) কাজ করছে লাহোর হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত। যেখানে পিটিআই প্রধানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়নি।

 

স্বাভাবিক কারণেই দেশে ফিরে আসার পর নিজেকে সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি নিতে চান না সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আর তিনি যদি না ফেরেন, তাহলে পিএমএল-এনের শেষ পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে- সেটা দেখার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

নওয়াজ শরিফ কেন পাকিস্তানে ফিরছেন না?

পোষ্ট হয়েছে : ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে, লন্ডনে অবস্থান করছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের সময় তিনি নিজেই সেখানে গিয়েছিলেন, নাকি ‘চিকিৎসার জন্য’ পাঠানো হয়েছিল- সেই রহস্যের জট আজও খোলেনি।

 

পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ৯০ দিনের মধ্যে কিংবা সমগ্র দেশে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা; তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। সে যাই হোক, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে তারই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ তথা পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন জোট। আর প্রধানমন্ত্রী হলেন তার ভাই শাহবাজ শরিফ। তারপরও দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

 

তার সিদ্ধান্তহীনতার সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো আইনি বাধা। অর্থাৎ তাকে নির্বাচনে আজীবন অযোগ্য ঘোষণা এবং পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

 

নিজে দেশে ফেরার পরিবর্তে ক্যারিশম্যাটিক কন্যা মরিয়ম নওয়াজকে পাঠিয়েছেন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী। অনেকে মনে করেন, শরিফের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হবেন মরিয়ম। লন্ডনে বাবার কাছে তিন মাস থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পর তিনি দলের ভেতর সিনিয়র কিছু নেতা এবং ফায়ারব্র্যান্ড বিরোধী নেতা ইমরান খানের দিক থেকে কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।

 

লন্ডন থেকে পাকিস্তানে আসার আগে মিয়া সাহেব তাকে দলের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সংগঠক হিসেবে নিয়োগ করেছেন; কিন্তু এমন পদক্ষেপের ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মরিয়ম নওয়াজ। কারণ দলের কিছু প্রবীণ নেতা তাকে স্বাগত তো জানায়নি, উল্টো কেউ কেউ প্রকাশ্যে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

 

পিএমএল-এনের অভিজ্ঞ নেতারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, গত বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা এবং পরবর্তীতে সরকার গঠন দলের জন্য সবচেয়ে বড় পরাজয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কারণ এরপর দলের সুনাম তো বাড়েইনি, উল্টো আগে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল সেটাতেও ধস নেমেছে। তার প্রমাণ, গত বছরের বেশিরভাগ উপনির্বাচনে হেরেছে পিএমএল-এন। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ জরিপে ইমরান খানের পিটিআইয়ের জয়ের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।

 

যেসব নেতা সরকার গঠনের বিরুদ্ধে ছিলেন, তাদের মতে এর জন্য নওয়াজ শরিফই দায়ী। তার পক্ষে এখন কিংবা কখনই আর দলকে দাঁড় করানো সম্ভব হবে না। কারণ দলটি এখন সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া মরিয়মও ভিন্নমতাবলম্বীদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন না। সোজা কথা, বল এখন তার (নওয়াজ) কোর্টে। এসব নেতা আরও মনে করছেন, তিনি যদি দেশে না ফিরে লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করেন, তাহলে পিএমএল-এনের যে অবস্থান আছে, সেটাও থাকবে না।

 

ভিন্নমতাবলম্বী নেতারা মনে করছেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহীকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি, সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল, খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সরদার মেহতাব আব্বাসি অথবা সিনিয়র নেতা খাজা সাদ রফিকের দলত্যাগ স্পষ্টতই পার্টিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

 

অপরদিকে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব এমন সময় নিয়েছেন, যখন পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা করেও কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থায় যদি ৯০ দিনের মধ্যে পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে প্রয়াত পারভেজ মোশাররফের অবস্থা হবে নওয়াজ শরিফদের। এর আগে আগামী নির্বাচনের দাবিতে প্রথমে পাঞ্জাব এবং পরে খাইবার পাখতুনখাওয়া বিধানসভা ভেঙে দেয় পিটিআই নেতৃত্বাধীন জোট।

 

এমন প্রেক্ষাপটে মানুষের মনে লক্ষ-কোটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- কেন মিয়া সাহেব দেশে ফেরা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীন? তিনি কি আজীবন অযোগ্য হওয়া এবং দোষী সাব্যস্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ‘সবুজ সংকেত’ পাননি? যদি তাই হয়, তাহলে তিনি কি পদত্যাগের মতো অপ্রীতিকর অথচ অঘোষিত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? কিংবা দেখতে চাচ্ছেন, মরিয়ম তার উত্তরাধিকারের ভার কতটা বহন করতে পারে?

 

দলের অভ্যন্তরে মরিয়মপন্থি কিছু নেতাও স্বীকার করেছেন যে, তাকে দলের নেতৃত্ব দিতে গেলেও মিয়া সাহেবের ফিরে আসা এবং পাঞ্জাব বা দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে দলটি যে ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে- সেটা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

 

বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ এখনো তার আপিলের সম্ভাব্য রাজনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে শঙ্কায় রয়েছেন। তিনি তার দলের কাছ থেকে আইনি মতামতের জন্য যে অপেক্ষা করছেন, সেখানেও সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

লন্ডন থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছেন নওয়াজ। আপিলের বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে যে খুব বেশি সুবিধা পাবেন, সে বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী নন তিনি। অপরদিকে সাধারণ নির্বাচনের আগে পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ইমরান খানের চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে বুস্টিং হিসেবে (পিটিআইয়ের জন্য) কাজ করছে লাহোর হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত। যেখানে পিটিআই প্রধানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়নি।

 

স্বাভাবিক কারণেই দেশে ফিরে আসার পর নিজেকে সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি নিতে চান না সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আর তিনি যদি না ফেরেন, তাহলে পিএমএল-এনের শেষ পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে- সেটা দেখার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।