শেয়ার বিক্রি করে বিও খালি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা
- পোষ্ট হয়েছে : ১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৬৭ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মন্দা দেখা দেয় দেশের পুঁজিবাজারে। এরপর বাজারের বড় পতন ঠেকানোর জন্য ফ্লোর প্রাইস বেধে দেয় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু বিএসইসির এই পদক্ষেপেও বাজার ভালো হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা অনেকটা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। অনেক বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণের মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগ করায় ফোর্স সেলের আওতায় পড়তে হয়েছে। যার কারণে অনেকে সব শেয়ার বিক্রি করে মার্জিন ঋণ পরিশোধ করছেন। এতে করে বিও হিসাব খালির সংখ্যা বেড়েছে। তবে খালি হওয়া বিও হিসাবগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নতুন করে খোলা বিও বলে মনে করছেন ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীরা।
চলতি বছরের প্রথম দেড় মাসে দেশের শেয়ারবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে। তবে যে সংখ্যক নতুন বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, তারও দ্বিগুণের মতো অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি শেয়ার শূন্য বা খালি হয়েছে। এর মানে অনেক বিনিয়োগকারী তাঁর সব শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের ওয়েবসাইট থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ডিসেম্বরের শেষে পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিও অ্যকাউন্ট ছিল ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৩০১টি। গত বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা বেড়ে ১৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩২টিতে উন্নীত হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দেড় মাসে ৫ হাজার ৬৩১টি নতুন বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তবে গত ডিসেম্বর শেষে পুরোপুরি খালি (একটিও শেয়ার নেই এমন) বিও অ্যাকাউন্ট যেখানে ছিল ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭০টি, গত বৃহস্পতিবার শেষে তা বেড়ে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৯টিতে উন্নীত হয়েছে। সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে ৯ হাজার ৭৯৯ বিও অ্যাকাউন্টে এখন কোনো শেয়ার নেই।
এই ৯ হাজার বিও’র মধ্যে বেশিরভাগই নতুন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে খোলা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে নতুন করে খোলা ভিউ একাউন্ট গুলোতে বিনিয়োগ শুরু করবেন নতুন বিনিয়োগকারীরা। এতে করে বাজারে নতুন করে কিছুটা তারল্য প্রবাহ বাড়বে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় বড় অনেক বিনিয়োগকারী অনেক আগেই শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁরা এখন কেনার জন্য উম্মুখ হয়ে রয়েছেন। মাঝে-মধ্যে বাজারে যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে, তাঁরা তা কাজে লাগাচ্ছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার এখন এক রকম তলানিতে রয়েছে। যে কোনো সময়ে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এখন যারা আতংকিত হয়ে কম দরে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন, তাদেরকে তখন পস্তাতে হবে। কারণ তখন যদি তারা শেয়ার কিনতে চান, তাহলে তাদেরকে তখন চড়া দরে শেয়ার কিনতে হবে।