ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের ব্যর্থতায় ঢাকা এখন বিস্ফোরণের নগরী : ফখরুল

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১০ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েক দিন ধরে শুধু বিস্ফোরণ হচ্ছে। আমাদের দুর্ভাগ্য। বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা মহানগরী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক শোভাযাত্রা শুরুর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়াবা ইউসুফ, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গ্যাস জমে থেকে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণে তিনজন লোক মারা গেলেন। গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণের ফলে ১৮ জন মানুষ মারা গেছেন। যাদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। এর আগে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ হলো, সেখানে সাতজন লোক মারা গেলেন। কেন হচ্ছে এসব? সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো রয়েছে, যাদের এগুলো দেখার কথা, নজরদারিতে রাখার কথা, তারা কোনো কাজ করে না, সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করার, আগুনকে প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে আজকে এভাবে ভয়াবহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ঢাকা মহানগরের সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি নগরে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, ঢাকা মহানগরের যে বাতাস, সেটাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত বাতাস। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ইকোনমিকস পত্রিকা, তারা বলছে, দূষিত মহানগরকে ছাড়িয়ে এখন দুর্নীতির যে বাতাস এটা এখন বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, অতীতে কখনো এ রকম নির্যাতন হচ্ছে বলে আমার জানা নেই।

মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশে বলেন, বোনেরা, আপনাদের আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে। আরও বেশি করে সংগঠিত হতে হবে। দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের সংগঠিত করতে হবে।

ফখরুল বলেন, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। আর সম্ভবত নারীদের মধ্যেও তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। আমি যেখানে যাচ্ছি, বয়স্ক মহিলারা জিজ্ঞেস করেন খালেদা জিয়া কেমন আছেন। তিনি তাদের বুকের মধ্যেই রয়েছেন। আজকে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় আন্দোলন করে তুলবেন। চলমান আন্দোলনের তারা আরও বেশি করে শরিক হবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বোনেরা আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আপনাদের আরও বেশি সংগঠক হতে হবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এ জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে—এটাই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মহিলাদের অত্যাচার না করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এগুলো কারা করছে? সরকারি দলের লোকেরাই করছে—বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করা হয়, তখন নারীদের একটি সংগঠনও প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসেনি, দুঃখ হয়। আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করে কীভাবে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। কীভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি সেটা আদায় করব। আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামেন এবং আপনারা সফল হন—এই প্রত্যাশা করছি।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

সরকারের ব্যর্থতায় ঢাকা এখন বিস্ফোরণের নগরী : ফখরুল

পোষ্ট হয়েছে : ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েক দিন ধরে শুধু বিস্ফোরণ হচ্ছে। আমাদের দুর্ভাগ্য। বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা মহানগরী একটি বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক শোভাযাত্রা শুরুর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়াবা ইউসুফ, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গ্যাস জমে থেকে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণে তিনজন লোক মারা গেলেন। গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণের ফলে ১৮ জন মানুষ মারা গেছেন। যাদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। এর আগে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ হলো, সেখানে সাতজন লোক মারা গেলেন। কেন হচ্ছে এসব? সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো রয়েছে, যাদের এগুলো দেখার কথা, নজরদারিতে রাখার কথা, তারা কোনো কাজ করে না, সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণ প্রতিরোধ করার, আগুনকে প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে আজকে এভাবে ভয়াবহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ঢাকা মহানগরের সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি নগরে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, ঢাকা মহানগরের যে বাতাস, সেটাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত বাতাস। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ইকোনমিকস পত্রিকা, তারা বলছে, দূষিত মহানগরকে ছাড়িয়ে এখন দুর্নীতির যে বাতাস এটা এখন বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, অতীতে কখনো এ রকম নির্যাতন হচ্ছে বলে আমার জানা নেই।

মহিলা দলের নেত্রীদের উদ্দেশে বলেন, বোনেরা, আপনাদের আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে। আরও বেশি করে সংগঠিত হতে হবে। দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের সংগঠিত করতে হবে।

ফখরুল বলেন, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। আর সম্ভবত নারীদের মধ্যেও তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। আমি যেখানে যাচ্ছি, বয়স্ক মহিলারা জিজ্ঞেস করেন খালেদা জিয়া কেমন আছেন। তিনি তাদের বুকের মধ্যেই রয়েছেন। আজকে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় আন্দোলন করে তুলবেন। চলমান আন্দোলনের তারা আরও বেশি করে শরিক হবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বোনেরা আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আপনাদের আরও বেশি সংগঠক হতে হবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এ জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে—এটাই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মহিলাদের অত্যাচার না করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এগুলো কারা করছে? সরকারি দলের লোকেরাই করছে—বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন করা হয়, তখন নারীদের একটি সংগঠনও প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসেনি, দুঃখ হয়। আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করে কীভাবে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। কীভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি সেটা আদায় করব। আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য রাস্তায় নামেন এবং আপনারা সফল হন—এই প্রত্যাশা করছি।