1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
সরকারকে ফেলে দেওয়া হবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই: মির্জা ফখরুল
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৪৪ রাত

সরকারকে ফেলে দেওয়া হবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই: মির্জা ফখরুল

  • পোষ্ট হয়েছে : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: হরতাল অবরোধ নয়, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই সরকারকে ফেলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকালে নোয়াখালীতে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, হামলা-মামলা দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘একদফা’ আদায়ে কর্মসূচি চলমান থাকবে।

 

আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আপনাদের সময় শেষ। পরিষ্কারভাবে বলেছি, ভালো ছেলের মতো সুবোধ বালক-বালিকার মতো পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙে দেন। যদি ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করেন ভালো, নইলে রাজপথেই হবে ফয়সালা।

 

পদযাত্রায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় কুমিল্লার লাকসামে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।

বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, মৎসজীবী দল, তাঁতী দল ও জাসাসের উদ্যোগে এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রাটি জেলার শহীদ বুলু স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়। পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৃহত্তর নোয়াখালীর পাঁচটি জেলার নেতাকর্মী সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হয়।

 

সমাবেশ শেষে পদযাত্রাটি শহরে সড়ক প্রদক্ষিণ করে লাকসাম সড়কের কাছে এসে শেষ হয়। পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

 

সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। শুধু বিএনপি বা কৃষক দল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, জাসাসের নেতাকর্মীরা নয়, যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শুধু নয়, সব মানুষকে আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ সমস্যা শুধু বিএনপির নয়, এ সমস্যা শুধু খালেদা জিয়ার নয়, এ সমস্য শুধু তারেক রহমানের নয়, এ সমস্যা আমাদের সমগ্র জাতির। ভোটের অধিকার নেই, আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, আমাদের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, উনি বলেছেন উনাদের একটাই দাবি- শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে হবে। কী লজ্জা কী লজ্জা কী আল্লাদ, কী আবদার। ২০০৮ সালে কারচুপি করে ক্ষমতায় এসে সুকৌশলে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটাকে বাতিল করে দিয়েছেন। কেন, আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে, নিরপেক্ষ সরকার থাকলে, নির্দলীয় সরকার থাকলে আওয়ামী লীগের ভাত নেই। ৩০টি আসনও পাবে না।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা অত্যাচার করছেন, নির্যাতন করছেন, আজকে (শুক্রবার) লাকসামে যারা নির্যাতন করেছেন, অন্য জায়গায় যারা নির্যাতন করেছেন তারা সাবধান হয়ে যান। আর কোনো রকমের নিপীড়ন নির্যাতন আমরা সহ্য করব না। প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, আপনারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন সংবিধান অনুযায়ী। কোথাও কোনো নির্যাতন করবেন না। জনগণের বিজয় অনিবার্য। এবার নতুন সূর্য উদয় হবে, ইনশাআল্লাহ।

 

আগামীতে নির্বাচিত হলে রাষ্ট্র মেরামতের ঘোষিত ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেখানে পরিষ্কার করে বলেছি- আমরা কৃষকদের জন্য উন্নতির ব্যবস্থা করব, আমরা শ্রমিকদের জন্য উন্নতির ব্যবস্থা করব, আমরা তাঁতী, মৎস্যজীবী, কামার-যুবক-শ্রমজীবী মানুষের জন্য যা যা করব তা এ রূপরেখায় বলেছি।

 

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাহবুবে রহমান শামীম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, রেহানা আখতার রানু, মোস্তাক মিয়া, ইশরাক হোসেন, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ইশরাক হোসেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজম সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য মো. গোলাম মোমিত ফয়সাল, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, আমাদের বলে তাদের অধীনে নাকি ভোট দিতে হবে। ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে বলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে সবাই ভোট করতে পারবেন। সবাইকে বলেন ভোট করতে আমি কোনো বাধা দেব না। আমরা ভাবলাম বোধ হয় শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। কি করা যাবে বলেন। ভূতের মুখে রাম রাম। আগের রাতে ভোট হয়ে গেল। এখন আমার বলছে আমরা সুন্দর ভোট করব। আমাদের অধীনেই ভোট হবে। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে। আহারে, কী আবদার। শিয়ালের কাছে বারবার কুমিরের বাচ্চা দেওয়া যাবে না। বারবারই খেয়ে ফেলবে। আমরা এবার আর খেতে দেব না।

 

দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এটা একটা লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে। ব্যাংকগুলো সব লুট করতে করতে খালি করে দিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আবার পাচারের টাকা দেশে নিয়ে আসার একটা বিধান করেছে। দেশে নিয়ে আসলে আবার আড়াই পার্সেন্ট ইনসেন্টটিভ পাবে। কী মজা, আমাদের পকেট থেকে টাকা কেটে রেখে ট্যাক্সের টাকা নিয়ে তারা আবার চোরদেরকে পুরষ্কার দিচ্ছে।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর