সেই যুবকের নোয়াখালীর বাড়িতে হামলা, শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্ক
- পোষ্ট হয়েছে : ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
- / ৫৪ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্কে জড়ানো স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাদল মির্জার (৩২) নোয়াখালীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সেনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন সুজন ও শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে বাদল মির্জার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, ককটেল মেরে ঘরের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগ কর্মীরা।
বাদল মির্জা সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আমকি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র শাখা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। তিনিসহ বেশ কয়েকজন সেদেশে সফররত নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এসময় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেন। যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের গাড়ি দেখে ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিএনপির সমর্থকরা। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে নিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের। এসময় শামীম ওসমান গাড়ি থেকে নেমে বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঘটনাস্থলে বাদল মির্জা উপস্থিত ছিলেন এবং শামীম ওসমানের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন সুজন বলেন, শামীম ওসমান সারা বাংলাদেশের গর্ব। তাকে অপমান করা মানে আমাদের সবাইকে অপমান করা। মূলত বাদল মির্জা আওয়ামী লীগ ও আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
একজন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমরা বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। তাই আজ তার ঘরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তার বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেন। যোগাযোগ করা হলে বাদল মির্জা বলেন, আমার বাড়িতে ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসীরা হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আমি তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাই এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
আমি শামীম ওসমান ভাইকে গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু কোনো কটূক্তি করিনি। আমার পরিবারের কেউ নিরাপদ নয়। আমি প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করছি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, হামলার বিষয়টি প্রথমে আপনার কাছে শুনেছি। কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।