প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে দলীয় ক্যাডারের মতো আচরণ শুরু করেছে।

পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে দলের নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা ও গ্রেফতার না করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা তাদের সতর্ক করতে চাই।

এসব অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে আমরা এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামসহ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হব।

শনিবার (১৫ জুলাই) নগরীর কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন নাসিমন ভবনস্থ উত্তর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা উত্তর জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। দলীয় কর্মসূচি পালনে তারা বাধার সৃষ্টি করছে।

এ বিএনপি নেতা বলেন, বিনা কারণে পুলিশের সহযোগিতায় এসব হামলা করছে। উল্টো তারাই আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। ফটিকছড়িতে ঈদপরবর্তী শোভাযাত্রায় হামলা করে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

পরে তারাই আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। উত্তর চট্টগ্রামের সব উপজেলায় একই কায়দায় হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা চালাচ্ছে।

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ঈদের পর থেকে উত্তর চট্টগ্রামের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে।

যাকে পাচ্ছে তাকে পূর্বের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠাচ্ছে। গায়েবি মামলার কারণে গ্রামে থাকতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। সাদা পোশাকের পুলিশ মাইক্রোযোগে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৯০০ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ১০ হাজারের ওপরে।

এরই মধ্যে আমরা অসহায় নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনার জন্য লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করেছি। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলাগুলো এ কমিটির মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, আলহাজ সালাউদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোওয়ার আলমগীর, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, সদস্য অধ্যাপক আজম খান, অ্যাডভোকেট এম এ তাহের, আবদুল আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম চৌধুরী, সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।