ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার
- পোষ্ট হয়েছে : ০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
- / ৪৭ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির এসব অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ড্রোন এবং সম্ভবত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেনের বহু লক্ষ্যবস্তুতে আকাশপথে হামলা করেছে বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে।
দেশটির বিমান বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর ওডেসা এবং মাইকোলাইভ, দোনেৎস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া এবং দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলগুলো রাশিয়ান ড্রোন হামলার হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এছাড়া পোলতাভা, চেরকাসি, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ এবং কিরোভোহরাদ অঞ্চলে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়া ব্যালিস্টিক অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে।
ওডেসা অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেহ কিপার বলেছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়োজিত রয়েছে। কিপার টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘বেশ কয়েক দফায় রাশিয়ার এই আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ইউক্রেনের মাইকোলাইভ অঞ্চলে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রয়টার্স অবশ্য স্বাধীনভাবে এসব হামলার রিপোর্ট যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম সড়ক ও রেল সেতুতে ‘হামলার’ পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে রুশ-নির্মিত এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া এই হামলায় দু’জন নিহত হন। রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভাচিস্লাভ গ্লাদকভ টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামলায় অল্প বয়সী একটি মেয়ের বাবা ও মা নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার জন্য রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। তাদের অভিযোগ, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনও জড়িত রয়েছে। কিন্তু কিয়েভ আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি।