ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

  • পোষ্ট হয়েছে : ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
  • / ১৪ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি খাতের ১৩টি ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দর মানছে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এসব ব্যাংক ডলারের দর বেশি রাখছে, এমন অভিযোগের পরপরই তা রোধ করতে শক্ত অবস্থানে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের কড়া নির্দেশ পেয়েই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তদন্তে নেমেছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে নতুন করে দেশি-বিদেশি ১৩টি ব্যাংকের নাম বেরিয়ে এসেছে। দেশীয় ব্যাংকের মধ্যে একটি সরকারি ব্যাংকসহ আগেরবার ডলারের দর কারসাজিতে অভিযুক্ত ব্যাংকের নামও রয়েছে। এর আগে, গত বছরের আগস্টে অতিরিক্ত দরে ডলার কেনা-বেচায় দেশি বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম বলা হয়েছিল। এবার নতুন করে যেসব ব্যাংকের নাম

তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাহুল হক বলেন, বেশকিছু ব্যাংক আন্তঃব্যাংকসহ আমদানি, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্সে যে নির্ধারিত দর রয়েছে, তা মানছে না বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিক তদন্তে কয়েকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুরো তদন্ত শেষে যে ফলাফল পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছরের আগস্টে ডলারের দর বেশি রাখায় ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানদের

অপসারণ করে ব্যাংকগুলোর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক; কিন্তু আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এক মাস পরে ট্রেজারি প্রধানদের পুনর্বহাল করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছিল পরে কোনো অবস্থাতেই যেন ডলারের দর বাড়ানো না হয়।

এর আগে, গত ৪ জুলাই আন্তব্যাংক লেনদেনে ব্যাংকগুলোকে ডলারের দর ১০৯ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। দেশের সব অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু ব্যাংকের এডি শাখা আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর উদ্ধৃত করছে ১০৯ টাকার বেশি দরে। যদিও বাফেদা এবং এবিবির সর্বশেষ বৈঠকের সিদ্ধন্ত অনুযায়ী, এই দর কোনোভাবেই ১০৯ টাকার বেশি হবে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, এডি ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক ডলার বিক্রয় ও আমদানি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের ক্রয়মূল্যের ওপর পাঁচ দিনের ভারিত গড়হারের ওপর সর্বোচ্চ এক টাকা হারে স্প্রেড নিতে পারবে, তবে কোনোভাবেই তা ১০৯ টাকার বেশি হবে না। তবে এডি ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ এক টাকা মার্জিন নিতে পারবে।

এই প্রসঙ্গে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেছিলেন, কোনো ব্যাংকে যদি অতিরিক্ত ডলার থাকে, তাহলে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ১ টাকা মার্জিন নিতে পারবে। তবে তা কোনো উপায়েই ১০৯ টাকার বেশি হবে না। সেক্ষেত্রে ভারিত গড়হার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা হলে কোনো ব্যাংক ১০৯ টাকার বেশি নিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডলারের দর হবে প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানি পর্যায়ে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় রেমিট্যান্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের ওয়েটেড গড় করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ওয়েটেড গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে; অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক কী পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ করতে পারবে, তার একটি সীমা (এনওপি-নেট ওপেন পজিশন) নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। আগে ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল। ডলার বাজারের অস্থিরতা কমাতে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই তা কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এই সীমার বেশি ডলার হাতে থাকলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংকের কাছে বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ব্যাংকগুলোর, যা আন্তঃব্যাংক লেনদেন নামে পরিচিত।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক; কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকও আন্তঃব্যাংক দরেই ডলার কেনাবেচা করছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে, তার অন্যতম শর্ত হলো সব ক্ষেত্রে ডলারের একক দর নির্ধারণ করা, যা গত ২ জুলাই থেকে কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

১৩ ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

পোষ্ট হয়েছে : ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি খাতের ১৩টি ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দর মানছে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এসব ব্যাংক ডলারের দর বেশি রাখছে, এমন অভিযোগের পরপরই তা রোধ করতে শক্ত অবস্থানে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের কড়া নির্দেশ পেয়েই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তদন্তে নেমেছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে নতুন করে দেশি-বিদেশি ১৩টি ব্যাংকের নাম বেরিয়ে এসেছে। দেশীয় ব্যাংকের মধ্যে একটি সরকারি ব্যাংকসহ আগেরবার ডলারের দর কারসাজিতে অভিযুক্ত ব্যাংকের নামও রয়েছে। এর আগে, গত বছরের আগস্টে অতিরিক্ত দরে ডলার কেনা-বেচায় দেশি বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম বলা হয়েছিল। এবার নতুন করে যেসব ব্যাংকের নাম

তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাহুল হক বলেন, বেশকিছু ব্যাংক আন্তঃব্যাংকসহ আমদানি, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্সে যে নির্ধারিত দর রয়েছে, তা মানছে না বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিক তদন্তে কয়েকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুরো তদন্ত শেষে যে ফলাফল পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছরের আগস্টে ডলারের দর বেশি রাখায় ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানদের

অপসারণ করে ব্যাংকগুলোর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক; কিন্তু আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এক মাস পরে ট্রেজারি প্রধানদের পুনর্বহাল করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছিল পরে কোনো অবস্থাতেই যেন ডলারের দর বাড়ানো না হয়।

এর আগে, গত ৪ জুলাই আন্তব্যাংক লেনদেনে ব্যাংকগুলোকে ডলারের দর ১০৯ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। দেশের সব অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু ব্যাংকের এডি শাখা আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর উদ্ধৃত করছে ১০৯ টাকার বেশি দরে। যদিও বাফেদা এবং এবিবির সর্বশেষ বৈঠকের সিদ্ধন্ত অনুযায়ী, এই দর কোনোভাবেই ১০৯ টাকার বেশি হবে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, এডি ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক ডলার বিক্রয় ও আমদানি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের ক্রয়মূল্যের ওপর পাঁচ দিনের ভারিত গড়হারের ওপর সর্বোচ্চ এক টাকা হারে স্প্রেড নিতে পারবে, তবে কোনোভাবেই তা ১০৯ টাকার বেশি হবে না। তবে এডি ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ এক টাকা মার্জিন নিতে পারবে।

এই প্রসঙ্গে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেছিলেন, কোনো ব্যাংকে যদি অতিরিক্ত ডলার থাকে, তাহলে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ১ টাকা মার্জিন নিতে পারবে। তবে তা কোনো উপায়েই ১০৯ টাকার বেশি হবে না। সেক্ষেত্রে ভারিত গড়হার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা হলে কোনো ব্যাংক ১০৯ টাকার বেশি নিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডলারের দর হবে প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানি পর্যায়ে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় রেমিট্যান্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের ওয়েটেড গড় করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ওয়েটেড গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে; অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক কী পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ করতে পারবে, তার একটি সীমা (এনওপি-নেট ওপেন পজিশন) নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। আগে ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল। ডলার বাজারের অস্থিরতা কমাতে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই তা কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এই সীমার বেশি ডলার হাতে থাকলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংকের কাছে বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ব্যাংকগুলোর, যা আন্তঃব্যাংক লেনদেন নামে পরিচিত।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক; কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকও আন্তঃব্যাংক দরেই ডলার কেনাবেচা করছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে, তার অন্যতম শর্ত হলো সব ক্ষেত্রে ডলারের একক দর নির্ধারণ করা, যা গত ২ জুলাই থেকে কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।