শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি ডিবি পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত, যারা মোটরসাইকেলে এসে পাহারা দিয়েছে এবং যারা হত্যা করে পালিয়েছে তাদের নাম, নম্বর আমরা পেয়েছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করব।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুবেল যুবলীগের রাজনীতিতে আসার আগে শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তবে যুবলীগের কোনো পদে ছিলেন না। এলাকায় তাঁর ইন্টারনেটের ব্যবসা ছিল। এ ছাড়া তেজগাঁও থেকে ডিম এনে শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় সরবরাহ করতেন। স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
আওয়ামী লীগের নেতা টিপু হত্যার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘দুটি ঘটনাই শাহজাহানপুর এলাকায়। আমরা যাদের নাম পেয়েছি, তাদের গ্রেপ্তারের পরে বোঝা যাবে দুই ঘটনার মিল আছে কি না।’
তবে নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মামুন আহমেদ সিদ্দিকী শনিবার বলেন, ‘প্রথমে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব মনে হলেও এখন মনে হচ্ছে এই খুনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কারণ, রুবেল শাহজাহানপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। তাই কেউ তাঁকে সরিয়ে দিতে এই হত্যা করে থাকতে পারেন। তবে এখনো কোনো বিষয়ই নিশ্চিত না।’
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলবাগের জোয়ারদার লেন এলাকায় রাত ১টার দিকে অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন তাঁর স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রুবেলের বাসা রাজারবাগের জোয়ারদার লেন এলাকায়। রাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছেই তিন-চারজন তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।