প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: নিজের দায়ের করা শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলায় আজ (সোমবার) আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ক্যামেরা ট্রায়ালে (রুদ্ধদ্বার এজলাসে বিচার) বাকি সাক্ষ্য দেবেন তিনি।
সোমবার আদালতের এজলাসে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দুই বছর আগে সাভারের বোট ক্লাবে ঘটা ওই ঘটনার কিছু বিবরণ দিতে গিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এই নায়িকা। একপর্যায়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন পরীমনি।
পরীমনি যখন কাঁদছিলেন তখন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শহীদ হোসেন বিচারকের উদ্দেশে বলেন, পরীমনি হয়তো এই জনাকীর্ণ আদালতে সেদিনকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারছেন না। আইনে এই ধরনের মামলায় ক্যামেরার ট্রায়ালের বিধান রয়েছে।
একপর্যায়ে পরীমনি আদালতকে বলেন, ‘আমি ঘটনার কিছু বিষয় প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না।’ তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়াল করতে চান?’
এরপর পরীমনির আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। সেদিন এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে।
এদিকে পরীমনি যখন আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী। মামলার অপর আসামি শাহ শহিদুল আলমের পক্ষে তার আইনজীবী আদালতে ছিলেন। শহিদুল আদালতে আসতে না পারায় তার পক্ষে সময় চাওয়া হয়।
পরীমনি বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, তুহিন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। গত বছরের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। তখন নাসিরসহ তিন আসামি নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর আদালতে প্রথম আংশিক সাক্ষ্য দেন পরীমনি। সেদিনের ধারাবাহিকতায় সোমবারও ঘটনার কিছু বিবরণ দেন তিনি।