অন্ধকারে ডুববে সমাজ রাজনীতিকরা দুর্নীতি করলে
- পোষ্ট হয়েছে : ১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
- / ২০ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের দণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার ২৭৩ পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিতে লিপ্ত হলে পুরো সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে মত দিয়েছেন আদালত।
রায়ে বলা হয়, এ রায় বিচারিক আদালত গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর আগে গত ৩০ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন।
হাইকোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে। অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। রাজনীতিবিদরা জনগণ ও দেশের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার লক্ষ্যে রাজনীতিতে জড়িত হন।
এটি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য এক ধরনের মহান ত্যাগ ও নিষ্ঠার কাজ। রাজনীতি টাকা উপার্জনের কোনো মাধ্যম হতে পারে না। বৈধ ব্যবসা এবং অন্যান্য পেশার আশ্রয় নিয়ে অর্থ ও সম্পত্তি অর্জনের অনেক উপায় রয়েছে।
আদালত বলেন, দুর্নীতি সব লিঙ্গ, বয়স এবং বর্ণের মানুষকে প্রভাবিত করে এবং এটি দরিদ্র ও দুর্বল গোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করে। দেশের জনগণ বিশেষ করে দায়িত্বশীল স্টেকহোল্ডারদের একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত যে, তারা কেবল দুর্নীতির শিকারই নয়, এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের মূল খেলোয়াড়ও।
দুর্নীতিবাজরা তাদের সমালোচকদের চুপ করতে এবং চুরি করা সম্পদ লুকানোর জন্য একে অপরকে সাহায্য করে। তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার সময় এসেছে।
হাাইকোর্ট বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান, তাহলে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
হিসাব দেওয়ার দায়িত্ব থাকতে হবে এবং আইনের বিধান অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাল্যকাল থেকেই শিশুদের সততা এবং অসততার মধ্যে পার্থক্য করতে শেখানো উচিত বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে।
৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২১ মার্চ সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।
কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেন।