যে বার্তা দিলেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান, ঢাকায় সমাবেশের ঠিক আগে
- পোষ্ট হয়েছে : ০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
- / ৬৬ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক:জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনীতির অঙ্গনে উত্তাপ ততই ছড়াচ্ছে। ঢাকায় বড় দুদলের রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু হচ্ছে আজ দুপুরে।
নয়াপল্টনে অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির মহাসমাবেশ আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের সমাবেশ হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। অনেকটা পালটাপালটি আয়োজন নিয়ে দেশজুড়ে এক ধরনের শঙ্কা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
দুই দলের বৃহত্তম এই সমাবেশের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে টুইট করেছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান বব গুড। বৃহস্পতিবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য অধিকার মন্তব্য করে এ টুইট করেন তিনি।
বব গুড লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে তিনিসহ আরও ১৪ কংগ্রেস সদস্য জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ভার্জিনিয়ার কংগ্রেস সদস্য বব গুড এর আগেও বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি মার্কিন কংগ্রেসের ছয়জন সদস্য গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
বাংলাদেশের মানুষ যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সে সুযোগ সৃষ্টির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা। চিঠিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করা হয়েছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘দেশ এগিয়ে চলছে’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসব শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অভিযোগ করেন, সাংবাদিকদের কারণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অতিরিক্ত সক্রিয় এবং বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয়েও মাতব্বরি করছেন। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কথা বলা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে। এটি বন্ধ করা উচিত। এখন সময় এসেছে এটি বন্ধ করার।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র হলেও ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনিয়ম, সহিংসতা ও ভয়ভীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের কিছু পদক্ষেপের কথাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, সরকারের পদক্ষেপের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়েছে।