ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন জনদাবি মেনে: সরকারকে এবি পার্টি

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৮ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: জনদাবি মেনে নিয়ে সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবি পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলটি এ আহ্বান জানানো হয়।

 

‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকারের দাবিতে’ এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ১৫ বছরে গুম, খুন, দমন-নিপীড়ন, ভোট চুরি ও নজীরবিহীন দূর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার নিজেকে বাংলার মানুষের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছে।

 

পেশী শক্তি আর দালাল প্রশাসন নির্ভরতা এই সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তারা যত জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে তত বেশী ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করছে। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে সব জায়গায় আজ আওয়ামী শোষকদের জন্য মেসেজ পরিস্কার।

 

অতএব, জনদাবি মেনে পদত্যাগ করুন। জেদ এবং গোয়ার্তুমি করে আবারও একতরফা নির্বাচনের পথে হাটবেন না। সে পথে গেলে পাপের বোঝা আরও ভারি করা ছাড়া অন্য কোন লাভ হবে না। যত দেরি করবেন তত বেশি ভুল করবেন।

 

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সর্বদলীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে ৯০ দিনের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক ধরনের ‘রাজনৈতিক সমঝোতা’ তৈরি হয়েছিল।

 

দুখঃজনক হলো সুপ্রিম কোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে সেই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা বাতিল করবার মধ্য দিয়ে সরকার তার নির্বাচনি ম্যান্ডেট ও শপথ ভঙ্গ করেছে।

 

২০১১ সালের ১০মে আদালত তার সংক্ষিপ্ত রায়ে আরো দুটো নির্বাচন একই পদ্ধতিতে করার মতামত দিলেও লিখিত রায় প্রকাশিত হবার আগেই ৩০ জুন ২০১১ তাড়াহুড়া করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয় সরকার। সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত মতামতও এতে উপেক্ষা করে দেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয় বর্তমান সরকার।

 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, পার্টির দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান,

 

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, শ্রমিকনেতা শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, যুবনেতা শাহাদাতুল্লাহ টুটুল,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসাইন, ফিরোজ কবীর, তফাজ্জল হোসেন রমিজ, ছাত্র নেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, আশরাফুল আলম নির্ঝর, অ্যাডভোকেট সুলতানা রাজিয়া, মহানগর নেতা শফিউল বাশার, আব্দুল হালিম নান্নু, সেলিম খান, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আব্দুর রব জামিল, নজরুল ইসলাম, শিলা আক্তার, জেসমিন আক্তার মুক্তা, আব্দুল কাদের মুন্সি, আবদুল মান্নান প্রমূখ।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন জনদাবি মেনে: সরকারকে এবি পার্টি

পোষ্ট হয়েছে : ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: জনদাবি মেনে নিয়ে সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবি পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলটি এ আহ্বান জানানো হয়।

 

‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকারের দাবিতে’ এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ১৫ বছরে গুম, খুন, দমন-নিপীড়ন, ভোট চুরি ও নজীরবিহীন দূর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার নিজেকে বাংলার মানুষের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছে।

 

পেশী শক্তি আর দালাল প্রশাসন নির্ভরতা এই সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তারা যত জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে তত বেশী ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করছে। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে সব জায়গায় আজ আওয়ামী শোষকদের জন্য মেসেজ পরিস্কার।

 

অতএব, জনদাবি মেনে পদত্যাগ করুন। জেদ এবং গোয়ার্তুমি করে আবারও একতরফা নির্বাচনের পথে হাটবেন না। সে পথে গেলে পাপের বোঝা আরও ভারি করা ছাড়া অন্য কোন লাভ হবে না। যত দেরি করবেন তত বেশি ভুল করবেন।

 

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সর্বদলীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে ৯০ দিনের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক ধরনের ‘রাজনৈতিক সমঝোতা’ তৈরি হয়েছিল।

 

দুখঃজনক হলো সুপ্রিম কোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে সেই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা বাতিল করবার মধ্য দিয়ে সরকার তার নির্বাচনি ম্যান্ডেট ও শপথ ভঙ্গ করেছে।

 

২০১১ সালের ১০মে আদালত তার সংক্ষিপ্ত রায়ে আরো দুটো নির্বাচন একই পদ্ধতিতে করার মতামত দিলেও লিখিত রায় প্রকাশিত হবার আগেই ৩০ জুন ২০১১ তাড়াহুড়া করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয় সরকার। সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত মতামতও এতে উপেক্ষা করে দেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয় বর্তমান সরকার।

 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, পার্টির দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান,

 

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, শ্রমিকনেতা শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, যুবনেতা শাহাদাতুল্লাহ টুটুল,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসাইন, ফিরোজ কবীর, তফাজ্জল হোসেন রমিজ, ছাত্র নেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, আশরাফুল আলম নির্ঝর, অ্যাডভোকেট সুলতানা রাজিয়া, মহানগর নেতা শফিউল বাশার, আব্দুল হালিম নান্নু, সেলিম খান, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আব্দুর রব জামিল, নজরুল ইসলাম, শিলা আক্তার, জেসমিন আক্তার মুক্তা, আব্দুল কাদের মুন্সি, আবদুল মান্নান প্রমূখ।