1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
‘৪০ বছরের রেকর্ড’ ভঙ্গ মাছের দামে!
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:০৯ দিন

‘৪০ বছরের রেকর্ড’ ভঙ্গ মাছের দামে!

  • পোষ্ট হয়েছে : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর দশমিনায় ৪০ বছরের ইতিহাস ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে মাছের দাম। ১৯৮৩ সালে উপজেলা গঠনের পর শনিবার সর্বোচ্চ দামে মাছ বিক্রি হয়েছে।

 

নদীবেষ্টিত উপকূলীয় এ উপজেলায় মাছের এমন চড়া দাম ভাবিয়ে তুলেছে নিম্ন আয় থেকে শুরু উচ্চ আয়ের ক্রেতাদেরও। বেশি চিন্তিত বরিশালে বিভাগের সবচেয়ে দরিদ্র এ উপজেলার দেড় লাখ প্রায় জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিম্ন আয়ের ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ।

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন দামের মাঝে মাছের চড়া দামে নাভিশ্বাস উঠছে তাদের। মাছ-ভাতের উপকূলের বাসিন্দাদের এখন নুন-ভাতে যেন দিন কাটাচ্ছেন। মাছ-ভাত যেন দিন দিন আকাশকুসুম চিন্তা।

 

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার তদারকি ও দালাল সিন্ডিকেটের কারণে পাইকারির চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয় মাছ।

 

জানা যায়, উপকূলীয় এ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ১০ হাজারের বেশি জেলে রয়েছে। যা বাস্তবে আরও বেশি। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ শিকার হলেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। জেলেদের থেকে কম দামে মাছ কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ী, দালাল-আড়তদাররা।

 

শনিবার বাজার ঘুরে দেখা যায় ছোট চিংড়ি হাজার, একটু বড় সাইজের ইলিশ প্রায় দুই হাজার, পোয়া প্রায় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৬শ থেকে ৭শ টাকার নিচে কোনো মাছ মেলে না। যে উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ রপ্তানি হয়, সেখানে মাছের এমন চড়া দামে হতাশ সবাই।

 

কবির হোসেন নামে এক ক্রেতা যুগান্তরকে বলেন, নদী ও জেলে নির্ভর এলাকার বাজারে মাছের এমন দাম তার ৪৭ বছর বয়সে কখনো দেখেননি। মাছের দাম বেশি ও সামর্থ্য না থাকায় মাসে দুই এক বার মাছ কেনেন তিনি। আগামী দিনে মাছ খেতে পারবেন কি না- এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, দশমিনা মাছ বাজারে দলাল সিন্ডিকেটের কারণে মাছের চড়া দাম এবং এই দালালরা দ্বিগুণ দামে মাছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হচ্ছেন।

 

আফজাল নামে এক জেলে যুগান্তরকে জানান, সরাসরি বাজারে মাছ বিক্রির সুযোগ না থাকা ও জেলেরা দাদনের খাতায় বন্দি থাকার কারণে মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ জেলেরা তার ন্যায্য দাম পান না।

 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, জেলেরা দাদন নিলেও বা কেউ দিলেও সেটা স্বীকার করেন না। মাছের দাম বেশি হলে ধরে খাওয়া ছাড়া উপায় কি! সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত বা তারা দেখবে।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর