ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যা বললেন গয়েশ্বর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৮ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাকে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পেটানো হয়েছে।

 

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছি। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে।

 

সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।’

 

শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইনজুরি হওয়ার পর সুস্থ হতে সময় লাগবে। এখন স্যালাইন দিতে হবে।’

 

এর আগে দুপুরে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকা থেকে সংঘর্ষ চলাকালে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।তখন অবশ্য পুলিশ বলেছিল, গয়েশ্বরকে ‘চিকিৎসার’ জন্য পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

এরপর তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে ব্রিফিংয়ে আসেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিএনপির ছোড়া ইট-পাটকেলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

সেই ঢিল বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্রের গায়েও লেগেছিল। পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনে। পরে তাকে নিরাপদে নয়াপল্টন কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

 

হারুন আরও বলেন, এসব ঘটনায় মামলা হবে। এর পেছনে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, তারা এমন একটু অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। কিন্তু তারপরও তারা যেভাবে পুলিশের ওপরে হামলা করেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

যা বললেন গয়েশ্বর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে

পোষ্ট হয়েছে : ০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাকে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পেটানো হয়েছে।

 

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছি। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে।

 

সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।’

 

শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইনজুরি হওয়ার পর সুস্থ হতে সময় লাগবে। এখন স্যালাইন দিতে হবে।’

 

এর আগে দুপুরে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকা থেকে সংঘর্ষ চলাকালে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।তখন অবশ্য পুলিশ বলেছিল, গয়েশ্বরকে ‘চিকিৎসার’ জন্য পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

এরপর তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে ব্রিফিংয়ে আসেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিএনপির ছোড়া ইট-পাটকেলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

 

সেই ঢিল বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্রের গায়েও লেগেছিল। পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনে। পরে তাকে নিরাপদে নয়াপল্টন কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

 

হারুন আরও বলেন, এসব ঘটনায় মামলা হবে। এর পেছনে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, তারা এমন একটু অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। কিন্তু তারপরও তারা যেভাবে পুলিশের ওপরে হামলা করেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’