1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
৮ বছরের শিশুকে হত্যা মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের পর
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:৫২ রাত

৮ বছরের শিশুকে হত্যা মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের পর

  • পোষ্ট হয়েছে : শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফে এক তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে একই মাদ্রাসার ছাত্র মো. এরফান। ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রী ফারিহা তার দূর সম্পর্কের ভাগ্নি হয়।

 

নাস্তা খেতে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শিশু ফারিহাকে হত্যা করে ওই মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলী আহমদের ছেলে এরফান। আটকের পর র‍্যাবের কাছে এমন জবানবন্দি দিয়েছে সে।

 

র‍্যাব জানায়, আশুরা উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। অভিযুক্ত এরফানের পিতা মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল হওয়ায় তার হাতে অফিস কক্ষের চাবি ছিল। সে সুযোগ ব্যবহার করে মাদ্রাসায় ধর্ষণের পর ছাত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত এরফান।

 

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নেট দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার পিছন থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর অভিযুক্ত এরফানকে হেফাজতে নেয় র‍্যাব।

 

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত মোহাম্মদ এরফান।

 

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বাজার থেকে অপহৃত হয় শিশু ফারিহা। এরপর পরিবারের কাছে মোবাইল ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ফোন পেয়ে শিশুটির মা জেসমিন আকতার বিষয়টি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।

 

এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের অধিনায়ক সৈয়দ সাদেকুল ইসলাম বলেন, অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর র‍্যাবের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করে। সন্দেহভাজন হওয়ায় এরফান নামের একজনকে আটক করা হয়।

 

তিনি বলেন, হত্যার পর শ্রেণিকক্ষে লাশ রেখে নিহত ফারিহার কাপড়চোপড় নিজের বাড়ির পাশে নালাতে ফেলে দেয় এবং ওইদিন রাত ৩টার দিকে কক্ষ থেকে লাশ বের করে মাদ্রাসার পিছনের নর্দমার পাশে রেখে আসে। পরে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অপহরণের নাটক সাজায় এরফান।

 

প্রকৃত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ধর্ষক এরফান একই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

 

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গত দুইদিন আগে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের ছেলে হওয়ায় মাদ্রাসায় সহজে যাওয়া আসার সুযোগ ছিল অভিযুক্ত মো. এরফানের।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর