ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে দেখে এলেন

  • পোষ্ট হয়েছে : ০১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৮ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখে এলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

 

এর আগে শুক্রবার রাতেও চেয়ারপারসনকে দেখতে গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। সেদিন খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পরে বলেছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। তারা উন্নত চিকিৎসা করাতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ অনুসারে ব্যবস্থা নিতে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

 

গতকালও বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার দাবি জানান। তারা মনে করেন, খালেদা জিয়া এখন লিভারের যে জটিলতায় ভুগছেন, তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিলে এ সমস্যা হতো না।

 

বর্তমানে ওই হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম কেবিনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সবসময় মনিটর করছেন।

 

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার রাত ১০টার দিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।

 

এর আগে ১০ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বেড়ে গেলে এভারকেয়ার হাসপাতাল মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়।

 

৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের জটিলতা ও হৃদরোগে ভুগছেন।
এর আগে গত জুন মাসেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেই সময় পাঁচ দিন তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়েছিল।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।

 

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে দেখে এলেন

পোষ্ট হয়েছে : ০১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখে এলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

 

এর আগে শুক্রবার রাতেও চেয়ারপারসনকে দেখতে গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। সেদিন খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পরে বলেছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। তারা উন্নত চিকিৎসা করাতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ অনুসারে ব্যবস্থা নিতে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

 

গতকালও বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার দাবি জানান। তারা মনে করেন, খালেদা জিয়া এখন লিভারের যে জটিলতায় ভুগছেন, তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিলে এ সমস্যা হতো না।

 

বর্তমানে ওই হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম কেবিনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সবসময় মনিটর করছেন।

 

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার রাত ১০টার দিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।

 

এর আগে ১০ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বেড়ে গেলে এভারকেয়ার হাসপাতাল মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়।

 

৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের জটিলতা ও হৃদরোগে ভুগছেন।
এর আগে গত জুন মাসেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেই সময় পাঁচ দিন তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়েছিল।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।

 

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন।