ঢাকা , বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের সম্মেলন হবে সাদামাটা, আসছে পরিবর্তন নেতৃত্বে

  • পোষ্ট হয়েছে : ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৭ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক ঃ দেশ ও বিশ্বের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনেও আসছে পরিবর্তন। দলটি এবারের সম্মেলন আগেকার সম্মেলনগুলোর চেয়ে কম বর্ণ্যাঢ্য, সাধারণ ও সাদামাটা ভাবেই সারবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য এবং ২২তম সম্মেলন মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন।

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতিও।

নানক বলেন, ‘বিশ্বের পরিস্তিতির আলোকে, দেশের পরিস্তিতির আলোকে এবার সম্মেলন হবে সাদামাটা। গত সম্মেলনে যেভাবে সারা ঢাকা শহর সাজসজ্জা করা হয়েছিল এবার আমরা সেটা করছি না। যেহেতু সম্মেলন করতে হবে তাই যেটুকু না করলে নয় ততুটুকু করা হবে।’

ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছাড়াও সমসাময়িক রাজনীতি ও ‘সরকার হটাতে’ বিএনপির সমাবেশ ইস্যুতেও কথা বলেন।

আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগে কেমন নেতৃত্ব আসতে পারে প্রশ্ন ছিল তার কাছে। নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু গণতান্ত্রে বিশ্বাসী দল তাই সম্মেলনে কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত দেবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করতে। সে অনুযায়ী দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে। তারপরে যোগ্য নেতৃত্ব দেখে শক্তিশলী একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।’

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কথা উল্লেখ করে দলটির সভাপতিমণ্ডলির এই সদস্য বলেন, ‘ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যখন সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারবেন তখনই মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আর যদি নেত্রী সময় দিতে না পারেন তাহলে কিভাবে সম্মেলনে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেত্রী এখনো দেননি। তিনি সিদ্ধান্ত দিলেই আমরা জানাতে পারবো।’

দলের মধ্যে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী—এটা একটা সস্তা কথা। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের আর্দশবিরোধী আওয়ামী লীগ এমন কাউকে জায়গা দিচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ভাঙলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে কি ভাবছে আওয়ামী লীগ? জবাবে নানক বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচান করেন। বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে নিয়ে যে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছেই না।’

‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমি মনে করি, বর্তমানে আর্থ-সামজিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে নিয়ে বিএনপির ভাবা উচিত। তারা সেটা না করে উল্টো করছে। দেশের মানুষের জীবনমানের দিক তাকানো উচিত’—যোগ করেন নানক।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

আ.লীগের সম্মেলন হবে সাদামাটা, আসছে পরিবর্তন নেতৃত্বে

পোষ্ট হয়েছে : ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক ঃ দেশ ও বিশ্বের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনেও আসছে পরিবর্তন। দলটি এবারের সম্মেলন আগেকার সম্মেলনগুলোর চেয়ে কম বর্ণ্যাঢ্য, সাধারণ ও সাদামাটা ভাবেই সারবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য এবং ২২তম সম্মেলন মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন।

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতিও।

নানক বলেন, ‘বিশ্বের পরিস্তিতির আলোকে, দেশের পরিস্তিতির আলোকে এবার সম্মেলন হবে সাদামাটা। গত সম্মেলনে যেভাবে সারা ঢাকা শহর সাজসজ্জা করা হয়েছিল এবার আমরা সেটা করছি না। যেহেতু সম্মেলন করতে হবে তাই যেটুকু না করলে নয় ততুটুকু করা হবে।’

ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছাড়াও সমসাময়িক রাজনীতি ও ‘সরকার হটাতে’ বিএনপির সমাবেশ ইস্যুতেও কথা বলেন।

আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগে কেমন নেতৃত্ব আসতে পারে প্রশ্ন ছিল তার কাছে। নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু গণতান্ত্রে বিশ্বাসী দল তাই সম্মেলনে কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত দেবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করতে। সে অনুযায়ী দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে। তারপরে যোগ্য নেতৃত্ব দেখে শক্তিশলী একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।’

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কথা উল্লেখ করে দলটির সভাপতিমণ্ডলির এই সদস্য বলেন, ‘ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যখন সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারবেন তখনই মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আর যদি নেত্রী সময় দিতে না পারেন তাহলে কিভাবে সম্মেলনে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেত্রী এখনো দেননি। তিনি সিদ্ধান্ত দিলেই আমরা জানাতে পারবো।’

দলের মধ্যে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী—এটা একটা সস্তা কথা। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের আর্দশবিরোধী আওয়ামী লীগ এমন কাউকে জায়গা দিচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ভাঙলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে কি ভাবছে আওয়ামী লীগ? জবাবে নানক বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচান করেন। বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে নিয়ে যে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছেই না।’

‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমি মনে করি, বর্তমানে আর্থ-সামজিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে নিয়ে বিএনপির ভাবা উচিত। তারা সেটা না করে উল্টো করছে। দেশের মানুষের জীবনমানের দিক তাকানো উচিত’—যোগ করেন নানক।