ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক শঙ্কা থাকলেও

  • পোষ্ট হয়েছে : ১০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫০ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক:  আগামীকাল শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে রাজনীতির মাঠ। সবার মাঝে একটাই প্রশ্ন- কী হবে ২৮ অক্টোবর? সেই সঙ্গে শঙ্কা আর উদ্বেগ তো রয়েছেই।

তবে সব কিছু ছাপিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। যে যার প্রয়োজনীয় কাজ করছেন। কেউ শপিংমলে কেনাকাটা করছেন। আবার কেউ ভিড় করছেন রেস্টুরেন্টে। এরমধ্যে কোনো কোনো সড়কে যানবাহন কম থাকলেও চলাচল স্বাভাবিক।

 

আবার কোথাও কোথাও যানজট দেখা গেছে। শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদে দূরপাল্লার বাস চলতে দেখা যায়নি। তবে যানজট দেখা গেছে। জ্যাম রয়েছে গুলিস্তান ও কারওয়ান বাজারেও।

 

এছাড়া শাহবাগ, বাংলামোটর, শনির আখড়ায় অন্য সময়ের তুলনায় যানবাহন কিছুটা কম। এদিকে বসুন্ধরা শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। বেচাকেনাও ছিল ভালো।

 

বসুন্ধরার এম. আর এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, একটু পর (রাতে) মনে হয় তেমন বিক্রি হবে না। তাই আজকে বেশি লাভ না রেখে জুতা বিক্রি করে দিচ্ছি।

 

কাল তো দুই দলের সমাবেশ, কাল তো কাস্টমারই থাকবে না। দোকান খুলে বসে থাকতে হবে। শ্যামলী থেকে পরিবার নিয়ে বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে এসেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 

তিনি প্রথমবার্তাকে বলেন, আজকে সত্যি বলতে কিছুটা আতঙ্ক নিয়েই বের হয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখলাম সব খোলাই আছে, তাই বের হলাম। এখানে এসে তো দেখছি অনেক মানুষ। আর রাস্তায়ও গাড়ি আছে ভালো।

 

তবুও কিছু শঙ্কা তো থেকেই যায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক লতিফ খান প্রথমবার্তাকে বলেন, আজকে ঢাকার বাইরের গাড়ি ঢুকতে না দেওয়ায় যানজট একটু কম। কিন্তু রাস্তায় লোকাল গাড়ি চলছে।

 

কালকের সমাবেশের জন্য ঝামেলা না কি হতে পারে। অনেক যাত্রী একটু চিন্তায় পড়ছে দেখেছি। একজন যাত্রী উঠছিল আমার সিএনজিতে। তারা না কি এক তারিখের আগে উঠবে না সমাবেশ থেকে। মনে হলো বিএনপির লোক।

 

এদিকে ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিকে এবং বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

ঢাকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক শঙ্কা থাকলেও

পোষ্ট হয়েছে : ১০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক:  আগামীকাল শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে রাজনীতির মাঠ। সবার মাঝে একটাই প্রশ্ন- কী হবে ২৮ অক্টোবর? সেই সঙ্গে শঙ্কা আর উদ্বেগ তো রয়েছেই।

তবে সব কিছু ছাপিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। যে যার প্রয়োজনীয় কাজ করছেন। কেউ শপিংমলে কেনাকাটা করছেন। আবার কেউ ভিড় করছেন রেস্টুরেন্টে। এরমধ্যে কোনো কোনো সড়কে যানবাহন কম থাকলেও চলাচল স্বাভাবিক।

 

আবার কোথাও কোথাও যানজট দেখা গেছে। শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদে দূরপাল্লার বাস চলতে দেখা যায়নি। তবে যানজট দেখা গেছে। জ্যাম রয়েছে গুলিস্তান ও কারওয়ান বাজারেও।

 

এছাড়া শাহবাগ, বাংলামোটর, শনির আখড়ায় অন্য সময়ের তুলনায় যানবাহন কিছুটা কম। এদিকে বসুন্ধরা শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। বেচাকেনাও ছিল ভালো।

 

বসুন্ধরার এম. আর এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, একটু পর (রাতে) মনে হয় তেমন বিক্রি হবে না। তাই আজকে বেশি লাভ না রেখে জুতা বিক্রি করে দিচ্ছি।

 

কাল তো দুই দলের সমাবেশ, কাল তো কাস্টমারই থাকবে না। দোকান খুলে বসে থাকতে হবে। শ্যামলী থেকে পরিবার নিয়ে বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে এসেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 

তিনি প্রথমবার্তাকে বলেন, আজকে সত্যি বলতে কিছুটা আতঙ্ক নিয়েই বের হয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখলাম সব খোলাই আছে, তাই বের হলাম। এখানে এসে তো দেখছি অনেক মানুষ। আর রাস্তায়ও গাড়ি আছে ভালো।

 

তবুও কিছু শঙ্কা তো থেকেই যায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক লতিফ খান প্রথমবার্তাকে বলেন, আজকে ঢাকার বাইরের গাড়ি ঢুকতে না দেওয়ায় যানজট একটু কম। কিন্তু রাস্তায় লোকাল গাড়ি চলছে।

 

কালকের সমাবেশের জন্য ঝামেলা না কি হতে পারে। অনেক যাত্রী একটু চিন্তায় পড়ছে দেখেছি। একজন যাত্রী উঠছিল আমার সিএনজিতে। তারা না কি এক তারিখের আগে উঠবে না সমাবেশ থেকে। মনে হলো বিএনপির লোক।

 

এদিকে ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপিকে এবং বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।