ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচার করা যাবে না সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৪ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অবশেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। উভয় দলকেই ২০টি করে শর্ত দিয়েছে পুলিশ।

 

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। শুক্রবার রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।

 

শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

 

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাতে জানান, কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আওয়ামী লীগকেও তাদের পছন্দের জায়গা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

গত ১৮ অক্টোবর সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর আওয়ামী লীগও একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়।

 

বিএনপি ২১ অক্টোবর পুলিশকে চিঠি দিয়ে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার কথা জানায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২৬ অক্টোবর বিএনপিকে চিঠি দিয়ে মহাসমাবেশের জন্য দুটি বিকল্প জায়গা ঠিক করাসহ ৭টি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ওই দিনই বিএনপি পুলিশকে জানায়, তারা সমাবেশ নয়াপল্টনেই করবে।

 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগও তাদের সমাবেশের কথা পুলিশকে জানায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়ে সমাবেশের জন্য দুটি বিকল্প জায়গা ঠিক করাসহ ৭টি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ওই দিনই আওয়ামী লীগ পুলিশকে জানায়, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই শান্তি সমাবেশ করবে তারা।

 

মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে দুদলের একই দিনে বড় সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনাকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে দুদলের পক্ষ থেকেই। ফলে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

 

বিএনপির মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হলো—

 

বিএনপির মহাসমাবেশের যে ২০ শর্ত:

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. দুপুর ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।

৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ দিতে হবে।

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।

৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে, এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তা বা কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।

১৪ . আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

 

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যে ২০ শর্ত:

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. দুপুর ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।

৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ দিতে হবে।

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।

৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে, এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তা বা কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।

১৪ . আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

 

অন্যদিকে একই দিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুক্রবার রাতে ডিএমপির সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, জামায়াতকে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

 

মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে আগেই ডিএমপি জানিয়েছিল, জামায়াতকে অনুমতি দেওয়া হবে না। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল পুলিশ।

 

তবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান অনুমতি না পেলেও মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

প্রচার করা যাবে না সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য

পোষ্ট হয়েছে : ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অবশেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। উভয় দলকেই ২০টি করে শর্ত দিয়েছে পুলিশ।

 

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। শুক্রবার রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।

 

শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

 

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাতে জানান, কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আওয়ামী লীগকেও তাদের পছন্দের জায়গা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

গত ১৮ অক্টোবর সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর আওয়ামী লীগও একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়।

 

বিএনপি ২১ অক্টোবর পুলিশকে চিঠি দিয়ে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার কথা জানায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২৬ অক্টোবর বিএনপিকে চিঠি দিয়ে মহাসমাবেশের জন্য দুটি বিকল্প জায়গা ঠিক করাসহ ৭টি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ওই দিনই বিএনপি পুলিশকে জানায়, তারা সমাবেশ নয়াপল্টনেই করবে।

 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগও তাদের সমাবেশের কথা পুলিশকে জানায়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়ে সমাবেশের জন্য দুটি বিকল্প জায়গা ঠিক করাসহ ৭টি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ওই দিনই আওয়ামী লীগ পুলিশকে জানায়, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই শান্তি সমাবেশ করবে তারা।

 

মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে দুদলের একই দিনে বড় সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনাকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে দুদলের পক্ষ থেকেই। ফলে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

 

বিএনপির মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হলো—

 

বিএনপির মহাসমাবেশের যে ২০ শর্ত:

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. দুপুর ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।

৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ দিতে হবে।

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।

৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে, এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তা বা কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।

১৪ . আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

 

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যে ২০ শর্ত:

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. দুপুর ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।

৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ দিতে হবে।

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।

৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে, এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তা বা কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।

১৪ . আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

 

অন্যদিকে একই দিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুক্রবার রাতে ডিএমপির সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, জামায়াতকে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

 

মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে আগেই ডিএমপি জানিয়েছিল, জামায়াতকে অনুমতি দেওয়া হবে না। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল পুলিশ।

 

তবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান অনুমতি না পেলেও মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।