পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়লেও কমেছে মরিচের ঝাঁজ কুষ্টিয়ায়
- পোষ্ট হয়েছে : ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৬১ বার দেখা হয়েছে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। পাইকারি হাটে প্রতি কেজি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। আর পঁচা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। যার দাম গত সপ্তাহে ছিল প্রায় অর্ধেক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) খুচরা প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। যা গত শনিবার ছিল ১০০ টাকা। জানা গেছে, প্রতি রোববার উপজেলার চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয়ের মাঠে বসে সপ্তাহিক পেঁয়াজের হাট। সকাল সাড়ে ১০ টায় সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক বা বিক্রেতা নেই। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বস্তায় ভরার কাজ করছেন। অনেকটা সুনসান নীরবতা পরিবেশ। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী আল মামুন বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। রোববার প্রতি কেজি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। আর পঁচা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
তার ভাষ্য, মানুষের ঘরে পেঁয়াজ মজুত না থাকায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। ওই হাট থেকে পঁচা পেঁয়াজ কুড়িয়ে বিক্রি করেন অসহায় মহিলা জামিলা খাতুন। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন কেজি পঁচা পেঁয়াজ পেয়েছিলাম। তা ৩০০ টাকা বিক্রি করিছি।
ব্যবসায়ী বকুল হোসেন বলেন, ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে নষ্ট ১৩ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। বাজারে আমদানি একেবারেই কম। হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহরাব উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের মৌসুমে আট থেকে দশ হাজার মণ পেঁয়াজ আমদানি হতো। সেখানে আজ মাত্র ১৫০ মণ পেঁয়াজ এসেছে হাটে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা মণ বিক্রি হলেও আজ হয়েছে সাত হাজার ৮০০ টাকায়।
কুমারখালী তহবাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা মজনু শেখ বলেন, কারো কাছে পুরাতন পেঁয়াজ নেই। নতুন পেঁয়াজ ১৫০-১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ৪০ টাকা। রোববার ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কুমারখালী সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটারিং করা হচ্ছে। কারসাজি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।