ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

  • পোষ্ট হয়েছে : ০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮ বার দেখা হয়েছে

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে গেছে অন্তত ৩০টি রোহিঙ্গা বসতি। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর।

ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। খুব দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ২৫-৩০টি ঘর পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অর্ধশত ঘর। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, আগুনে ২৫-৩০টি ঘর পুড়েছে। আশপাশের ঘরে যেন আগুন না লাগে সেজন্য অনেক ঘর টেনে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অগ্নিকাণ্ডস্থলের আশপাশের অর্ধশতাধিক ঘর।

আগুন কীভাবে ছড়ালো খোঁজ নিচ্ছি আমরা। অগ্নিকাণ্ডটি পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা সেই রহস্য উদ্ঘাটনে তৎপরতা অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থলে অবস্থান রয়েছে এপিবিএন সদস্যদের।

চলতি বছরের ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি ব্লকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় দুই হাজার ২০০ ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে একসঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় ১১ জনের মৃত্যু ও ৫ শতাধিক আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। বছরের শেষ রাতে এসে আগুন লাগার বিষয়টিও তাই রহস্যময় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

পোষ্ট হয়েছে : ০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে গেছে অন্তত ৩০টি রোহিঙ্গা বসতি। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর।

ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। খুব দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ২৫-৩০টি ঘর পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অর্ধশত ঘর। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, আগুনে ২৫-৩০টি ঘর পুড়েছে। আশপাশের ঘরে যেন আগুন না লাগে সেজন্য অনেক ঘর টেনে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অগ্নিকাণ্ডস্থলের আশপাশের অর্ধশতাধিক ঘর।

আগুন কীভাবে ছড়ালো খোঁজ নিচ্ছি আমরা। অগ্নিকাণ্ডটি পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা সেই রহস্য উদ্ঘাটনে তৎপরতা অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থলে অবস্থান রয়েছে এপিবিএন সদস্যদের।

চলতি বছরের ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি ব্লকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় দুই হাজার ২০০ ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে একসঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় ১১ জনের মৃত্যু ও ৫ শতাধিক আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। বছরের শেষ রাতে এসে আগুন লাগার বিষয়টিও তাই রহস্যময় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।