ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উৎসবের আমেজ, ফাঁকা ঢাকা তিন দিনের ছুটিতে

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৫ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রোববার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার থাকায় একসঙ্গে তিন দিনের ছুটি মিলেছে। এ কারণে শহর ছেড়েছেন অনেকেই। স্বজনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গেছেন কেউ কেউ।

 

এতে রাজধানীতে যানবাহনের চাপও অনেকটা কমেছে। যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধের কারণেও অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে ভোটের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ছুটির আমেজ বিরাজ করছে।

 

বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ ছুটি ঘোষণার কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৭ জানুয়ারি সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই যান চলাচল অনেক কম। গণপরিবহণে যাত্রীর চাপ নেই। তবে জুমার নামাজের পর গণপরিবহণে কিছুটা ভিড় বাড়ে।

 

চিরচেনা যানজটের রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ছিল নগরবাসীর ভিড়।

 

অনেকেই পরিবার নিয়ে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে যান। ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হলেও এলাকার চায়ের আড্ডায় সাধারণ মানুষ মেতেছিলেন ভোটের আলাপে।

 

হাতিরঝিলে কথা হয় মগবাজারের বাসিন্দা মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, টানা তিন দিনের ছুটি সচরাচর পাওয়া যায় না। এজন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

 

হাতিরঝিলে ঘুরে কোনো একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে খাব। ভোট নিয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা দেখেছি। তবে ঢাকার ভোটার না হওয়ায় ভোট দেওয়া হবে না।

 

গাবতলী এলাকায় কথা হয় ইকবাল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটির কারণে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। এ কারণেই বের হয়েছি। তবে সড়কে বাসের সংখ্যা খুবই কম। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সাভারের একটি বাস পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে।

 

রামপুরায় রাইদা পরিবহণের হেলপার সুমন মিয়া বলেন, অনেকেই ঢাকা ছাড়ছে। এজন্য ঢাকার শেষ স্টপেজগুলোর যাত্রী তুলনামূলক বেশি। সকাল থেকে যাত্রী কম ছিল। দুপুরের দিকে যাত্রী কিছুটা বেড়েছে।

 

মানিকগঞ্জ থেকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া রুটে চলাচল করে শুভযাত্রা পরিবহণ। এই পরিবহণের সুপারভাইজার জাহিদ হাসান বলেন, বাস কম হওয়ার কারণ, অনেক পরিবহণই নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ রিকুইজিশন করেছে। তাছাড়া যাত্রীও কম থাকায় অল্প গাড়ি দিয়েই আমরা চালিয়ে নিচ্ছি।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

উৎসবের আমেজ, ফাঁকা ঢাকা তিন দিনের ছুটিতে

পোষ্ট হয়েছে : ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রোববার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার থাকায় একসঙ্গে তিন দিনের ছুটি মিলেছে। এ কারণে শহর ছেড়েছেন অনেকেই। স্বজনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গেছেন কেউ কেউ।

 

এতে রাজধানীতে যানবাহনের চাপও অনেকটা কমেছে। যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধের কারণেও অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে ভোটের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ছুটির আমেজ বিরাজ করছে।

 

বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ ছুটি ঘোষণার কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৭ জানুয়ারি সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই যান চলাচল অনেক কম। গণপরিবহণে যাত্রীর চাপ নেই। তবে জুমার নামাজের পর গণপরিবহণে কিছুটা ভিড় বাড়ে।

 

চিরচেনা যানজটের রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ছিল নগরবাসীর ভিড়।

 

অনেকেই পরিবার নিয়ে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে যান। ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হলেও এলাকার চায়ের আড্ডায় সাধারণ মানুষ মেতেছিলেন ভোটের আলাপে।

 

হাতিরঝিলে কথা হয় মগবাজারের বাসিন্দা মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, টানা তিন দিনের ছুটি সচরাচর পাওয়া যায় না। এজন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

 

হাতিরঝিলে ঘুরে কোনো একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে খাব। ভোট নিয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা দেখেছি। তবে ঢাকার ভোটার না হওয়ায় ভোট দেওয়া হবে না।

 

গাবতলী এলাকায় কথা হয় ইকবাল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছুটির কারণে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। এ কারণেই বের হয়েছি। তবে সড়কে বাসের সংখ্যা খুবই কম। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সাভারের একটি বাস পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে।

 

রামপুরায় রাইদা পরিবহণের হেলপার সুমন মিয়া বলেন, অনেকেই ঢাকা ছাড়ছে। এজন্য ঢাকার শেষ স্টপেজগুলোর যাত্রী তুলনামূলক বেশি। সকাল থেকে যাত্রী কম ছিল। দুপুরের দিকে যাত্রী কিছুটা বেড়েছে।

 

মানিকগঞ্জ থেকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া রুটে চলাচল করে শুভযাত্রা পরিবহণ। এই পরিবহণের সুপারভাইজার জাহিদ হাসান বলেন, বাস কম হওয়ার কারণ, অনেক পরিবহণই নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ রিকুইজিশন করেছে। তাছাড়া যাত্রীও কম থাকায় অল্প গাড়ি দিয়েই আমরা চালিয়ে নিচ্ছি।