ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় না কখনোই

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫১ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: চাপা গলায় কেউ একজন বললেন, ‘ঢাকা-কক্সবাজার, আলাদা আলাদা ছয়টা আছে, অল্প লাভে দিয়ে দেব।’ এমন কথা শুনে থমকে দাঁড়াতে এবং কথা না বাড়িয়ে চোখের ইশারায় একটু দূরে-আড়ালে যাওয়ার ইঙ্গিত করা হলো।

 

ইশারা অনুযায়ী আড়ালে গিয়ে কালোবাজারির কাছ থেকে দুই-তিন গুণ বেশি দামে টিকিট কিনলেন যাত্রী। সম্প্রতি ট্রেনের এক হাজার ২০০ টিকিট উদ্ধারসহ কালোবাজারি চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব।

 

জানা গেছে, কালোবাজারির সংখ্যা শতাধিক। আর রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে রয়েছে অসংখ্য দালাল। এমন তথ্য রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের। ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কখনোই বাস্তবায়ন করা হয়নি।

 

এদিকে, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হরহামেশাই হচ্ছে-এমন খবরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম নড়েচড়ে বসেছেন। কালোবাজারি বন্ধসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা ও যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে তিনি বুধবার িশেষ বৈঠক করেছেন।

 

বৈঠকে রেল সচিবসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি-টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে ‘সহজ ডটকম’ (টিকিট বিক্রয়ে সম্পৃক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) বিন্দুমাত্র জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে চাকরিচ্যুতসহ মামলা করা হবে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে না। রেল উন্নয়নের সঙ্গে কালোবাজারিও বাড়ছে।

 

রেলপথমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেকোনো মূল্যে ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করা হবে বলে বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কখনোই কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি।

 

এনআইডি অথবা মোবাইল ফোন নম্বরে টিকিট কেনার ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে পদে পদে অসাধু উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। কে কার টিকিট কাটছে বোঝার কোনো উপায় নেই।

 

এ প্রসঙ্গে বুধবার বিকালে রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর প্রথমবার্তাকে বলেন, সরকার রেলে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ-বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন ট্রেন উদ্বোধন হচ্ছে।

 

কিন্তু টিকিট কালোবাজারির মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা থেকে আমরা বের হতে পারছি না। কালোবাজারিদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ টিকিট কিনছে। কালোবাজারি বন্ধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো মূলে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে রেলপথমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ড. হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘আমাকে প্রধান করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সহজ ডটকম অথবা রেলওয়ের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আমরা সব কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। শুধু কালোবাজারি নয়, রেলপথে নাশকতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করা হবে।

 

যাত্রীদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। প্রতিটি কাউন্টারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আন্তঃনগর সব ট্রেনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

 

একই সঙ্গে সবকটি স্টেশন সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। রেলওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলসংশ্লিষ্টদের চোখে ধুলো দিয়ে কালোবাজারে দেদার টিকিট িক্রি হচ্ছে। রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ-টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তারাও সম্পৃক্ত।

 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, অনলাইন ব্যবস্থায় খুব সহজে টিকিট কালোবাজারি করা যায়। কার টিকিটে কে যাচ্ছে-তা নির্ধারণ করার কোনো মাধ্যম নেই।

 

অনলাইন অথবা কাউন্টার উভয় মাধ্যম থেকে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে-এমন অভিযোগ পদে পদে প্রমাণিত হচ্ছে। এনআইডি ও মোবাইল ফোন নম্বরের বিপরীতে রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তিরা চারটি করে টিকিট কাটার কথা।

 

কিন্তু কে কার এনআইডি বা মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে টিকিট কাটছে তার কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। কারণ মোবাইল ফোনে কোনো ম্যাসেজ যায় না।

 

র‌্যাব বলছে, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় টিকিট কালোবাজারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে।

 

চারটি টিকিট কেনার বিনিময়ে তাদের ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। কাউন্টারের অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের (টিকিট কাটার সময় দেওয়া) জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে।

 

পরে এসব পরিচয়পত্র ব্যবহার করে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে। এভাবে চক্রটি প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করে।

 

সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার কক্ষে কর্মরতদের সহযোগিতাও তারা নেয়। যাত্রীদের সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ব্যবহার করে, এমনকি সার্ভার ডাউন করে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা হয়।

 

বিশেষ করে ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিন উপলক্ষ্যে তারা টিকিট সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ও রেলওয়ে পুলিশের প্রধান দিদার আহম্মদ প্রথমবার্তাকে বলেন, শুধু টিকিট কালোবাজারিই নয়, রেল ঘিরে বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর পর্যায়ে যাচ্ছি।

 

কালোবাজারির সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ রক্ষা পাবে না। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবা এবং রেলপথ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। টিকিট কালোবাজারি রোধে সবার সহযোগিতা চান তিনি।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় না কখনোই

পোষ্ট হয়েছে : ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: চাপা গলায় কেউ একজন বললেন, ‘ঢাকা-কক্সবাজার, আলাদা আলাদা ছয়টা আছে, অল্প লাভে দিয়ে দেব।’ এমন কথা শুনে থমকে দাঁড়াতে এবং কথা না বাড়িয়ে চোখের ইশারায় একটু দূরে-আড়ালে যাওয়ার ইঙ্গিত করা হলো।

 

ইশারা অনুযায়ী আড়ালে গিয়ে কালোবাজারির কাছ থেকে দুই-তিন গুণ বেশি দামে টিকিট কিনলেন যাত্রী। সম্প্রতি ট্রেনের এক হাজার ২০০ টিকিট উদ্ধারসহ কালোবাজারি চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব।

 

জানা গেছে, কালোবাজারির সংখ্যা শতাধিক। আর রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে রয়েছে অসংখ্য দালাল। এমন তথ্য রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের। ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কখনোই বাস্তবায়ন করা হয়নি।

 

এদিকে, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হরহামেশাই হচ্ছে-এমন খবরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম নড়েচড়ে বসেছেন। কালোবাজারি বন্ধসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা ও যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে তিনি বুধবার িশেষ বৈঠক করেছেন।

 

বৈঠকে রেল সচিবসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি-টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে ‘সহজ ডটকম’ (টিকিট বিক্রয়ে সম্পৃক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) বিন্দুমাত্র জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে চাকরিচ্যুতসহ মামলা করা হবে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে না। রেল উন্নয়নের সঙ্গে কালোবাজারিও বাড়ছে।

 

রেলপথমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেকোনো মূল্যে ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি বন্ধ করা হবে বলে বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কখনোই কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি।

 

এনআইডি অথবা মোবাইল ফোন নম্বরে টিকিট কেনার ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে পদে পদে অসাধু উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। কে কার টিকিট কাটছে বোঝার কোনো উপায় নেই।

 

এ প্রসঙ্গে বুধবার বিকালে রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর প্রথমবার্তাকে বলেন, সরকার রেলে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ-বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন ট্রেন উদ্বোধন হচ্ছে।

 

কিন্তু টিকিট কালোবাজারির মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা থেকে আমরা বের হতে পারছি না। কালোবাজারিদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ টিকিট কিনছে। কালোবাজারি বন্ধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো মূলে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে রেলপথমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ড. হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘আমাকে প্রধান করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সহজ ডটকম অথবা রেলওয়ের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আমরা সব কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। শুধু কালোবাজারি নয়, রেলপথে নাশকতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করা হবে।

 

যাত্রীদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। প্রতিটি কাউন্টারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আন্তঃনগর সব ট্রেনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

 

একই সঙ্গে সবকটি স্টেশন সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। রেলওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলসংশ্লিষ্টদের চোখে ধুলো দিয়ে কালোবাজারে দেদার টিকিট িক্রি হচ্ছে। রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ-টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তারাও সম্পৃক্ত।

 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, অনলাইন ব্যবস্থায় খুব সহজে টিকিট কালোবাজারি করা যায়। কার টিকিটে কে যাচ্ছে-তা নির্ধারণ করার কোনো মাধ্যম নেই।

 

অনলাইন অথবা কাউন্টার উভয় মাধ্যম থেকে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে-এমন অভিযোগ পদে পদে প্রমাণিত হচ্ছে। এনআইডি ও মোবাইল ফোন নম্বরের বিপরীতে রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তিরা চারটি করে টিকিট কাটার কথা।

 

কিন্তু কে কার এনআইডি বা মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে টিকিট কাটছে তার কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। কারণ মোবাইল ফোনে কোনো ম্যাসেজ যায় না।

 

র‌্যাব বলছে, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় টিকিট কালোবাজারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে।

 

চারটি টিকিট কেনার বিনিময়ে তাদের ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। কাউন্টারের অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের (টিকিট কাটার সময় দেওয়া) জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে।

 

পরে এসব পরিচয়পত্র ব্যবহার করে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে। এভাবে চক্রটি প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করে।

 

সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার কক্ষে কর্মরতদের সহযোগিতাও তারা নেয়। যাত্রীদের সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ব্যবহার করে, এমনকি সার্ভার ডাউন করে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা হয়।

 

বিশেষ করে ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিন উপলক্ষ্যে তারা টিকিট সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ও রেলওয়ে পুলিশের প্রধান দিদার আহম্মদ প্রথমবার্তাকে বলেন, শুধু টিকিট কালোবাজারিই নয়, রেল ঘিরে বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর পর্যায়ে যাচ্ছি।

 

কালোবাজারির সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ রক্ষা পাবে না। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবা এবং রেলপথ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। টিকিট কালোবাজারি রোধে সবার সহযোগিতা চান তিনি।