ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব শুরু ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি,

  • পোষ্ট হয়েছে : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০ বার দেখা হয়েছে

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর তীরে উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব ২০২৪’। শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত উৎসবে এবারও সহযোগিতায় থাকছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিরা বাউল সম্রাটের জীবন নিয়ে আলোচনা ও দেশের বিখ্যাত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। এসবের মধ্য দিয়ে কালোত্তীর্ণ লোক গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমকে গানে গানে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবেন তার ভক্ত-অনুসারীরা।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বরাম হাওরঘেঁষা উজানধল। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালনী নদী। এই কালনী নদীর পাড়ে থেকেই ভাটির বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম কেবল গানকে আঁকড়ে ধরেই কাটিয়েছেন। তৈরি করেছেন কালজয়ী হৃদয়ছোঁয়া অসংখ্য গান, যা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে আছে। বাউলের বাড়িতে এবং বাড়ির পাশের উজানধল মাঠে গানের জলসা, স্মৃতিচারণ আর লোকচর্চায় তাকে প্রতিবছরের মতো এবারও স্মরণ করবেন ভক্তরা। বসন্তের মিঠে হাওয়ায় আর বাউল সঙ্গীতের অপূর্ব মূর্ছনায় মেতে উঠবে উজানধল।

এলাকার মানুষসহ সারা দেশ থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি এই সময় সংগীতপ্রেমী, ভ্রমণপিয়াসিদের পদচারণা এই আয়োজনকে এই বছরও সার্থক করে তুলবে বলে আশা আয়োজকদের। বাংলা লোকগানের এই বাউল সম্রাটের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব শুরু ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি,

পোষ্ট হয়েছে : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর তীরে উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব ২০২৪’। শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত উৎসবে এবারও সহযোগিতায় থাকছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিরা বাউল সম্রাটের জীবন নিয়ে আলোচনা ও দেশের বিখ্যাত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। এসবের মধ্য দিয়ে কালোত্তীর্ণ লোক গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমকে গানে গানে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবেন তার ভক্ত-অনুসারীরা।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বরাম হাওরঘেঁষা উজানধল। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালনী নদী। এই কালনী নদীর পাড়ে থেকেই ভাটির বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম কেবল গানকে আঁকড়ে ধরেই কাটিয়েছেন। তৈরি করেছেন কালজয়ী হৃদয়ছোঁয়া অসংখ্য গান, যা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে আছে। বাউলের বাড়িতে এবং বাড়ির পাশের উজানধল মাঠে গানের জলসা, স্মৃতিচারণ আর লোকচর্চায় তাকে প্রতিবছরের মতো এবারও স্মরণ করবেন ভক্তরা। বসন্তের মিঠে হাওয়ায় আর বাউল সঙ্গীতের অপূর্ব মূর্ছনায় মেতে উঠবে উজানধল।

এলাকার মানুষসহ সারা দেশ থেকে আসা ভক্ত-সাধকদের পাশাপাশি এই সময় সংগীতপ্রেমী, ভ্রমণপিয়াসিদের পদচারণা এই আয়োজনকে এই বছরও সার্থক করে তুলবে বলে আশা আয়োজকদের। বাংলা লোকগানের এই বাউল সম্রাটের স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে।