1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আবদিভকা ছেড়ে চলে গেছেন ইউক্রেনীয় সেনারা
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:১৯ রাত

পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আবদিভকা ছেড়ে চলে গেছেন ইউক্রেনীয় সেনারা

  • পোষ্ট হয়েছে : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আবদিভকা ছেড়ে চলে গেছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সেনাদের জীবন বাঁচানোর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধের আগে আবদিভকায় ৩০ হাজার বাসিন্দা ছিলেন। তবে বর্তমানে শহরটির সব বাসিন্দা সরে গেছেন। এছাড়া আবদিভকাও একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাদের আবদিভকা ছাড়ার মাধ্যমে গত কয়েক মাসের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, পশ্চিমারা পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র না দেওয়ায় সেনাদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

কয়েক মাস ধরে অস্ত্রের অভাবে ভুগছে ইউক্রেন। মূলত দেশটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্ররা অস্ত্র দিতে দেরি করায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে কিয়েভ।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলেনস্কি — যেন ইউক্রেন ‘দানবকে’ হারাতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘দানব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি পশ্চিমারা এখন ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আগামী কয়েক বছরে রাশিয়া আরও অনেক দেশকে ‘বিপর্যস্ত’ করে দেবে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করেন পুতিন।

মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছেন, “ইউক্রেনকে জিজ্ঞেস করবেন না কখন যুদ্ধ শেষ হবে। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, পুতিন কেন এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছেন?”

আবদিভকায় ২০১৪ সাল থেকেই যুদ্ধ চলছে। দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত আবদিভকার আশপাশের অঞ্চল ২০১৪ সালে দখল করে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এরপর এটি লড়াইয়ের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়।

শনিবার ভোরে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার স্রিসকি। তিনি জানিয়েছেন, ‘ঘেরাও হওয়া থেকে রক্ষা পেতে এবং সেনাদের জীবন বাঁচাতে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন এবং শত্রুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছেন।

 

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর