ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫১ বার দেখা হয়েছে

ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু অফিসিয়ালি বিষয়গুলো বাকি। অফিসিয়ালি কাগজ পেলে দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চিনি আমদানির জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো আমরা নিয়েছি, নীতিগতভাবে ভারত সরকার সে বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা অফিসিয়ালি কাগজ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনতে পদক্ষেপ নেবো।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টেলিফোনে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণবিতরণবিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেন। এসময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান তিনি।

ভারতীয় বড় রপ্তানিকারকরা গত রোববার সে দেশের সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকায় এরই মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ রুপি থেকে ১৩ রুপিতে নেমে এসেছে। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পেঁয়াজের এই অন্যতম উৎপাদনস্থলের কৃষকরা তা প্রত্যাহারের জন্য বিক্ষোভ করে আসছিলেন। নাসিক জেলা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতি বেশ কয়েক দফায় প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

 

 

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে

পোষ্ট হয়েছে : ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু অফিসিয়ালি বিষয়গুলো বাকি। অফিসিয়ালি কাগজ পেলে দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চিনি আমদানির জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো আমরা নিয়েছি, নীতিগতভাবে ভারত সরকার সে বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা অফিসিয়ালি কাগজ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনতে পদক্ষেপ নেবো।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টেলিফোনে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণবিতরণবিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেন। এসময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান তিনি।

ভারতীয় বড় রপ্তানিকারকরা গত রোববার সে দেশের সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকায় এরই মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ রুপি থেকে ১৩ রুপিতে নেমে এসেছে। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পেঁয়াজের এই অন্যতম উৎপাদনস্থলের কৃষকরা তা প্রত্যাহারের জন্য বিক্ষোভ করে আসছিলেন। নাসিক জেলা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতি বেশ কয়েক দফায় প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।