ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৫ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

পাঁচ মাস পর ৯টি লোহার দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন মেঝেতে ঢেলে চলছে গণনা কার্যক্রম। গণনায় ৯৮ জন মাদ্রাসার ছাত্র ৯ জন শিক্ষক ৭০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেছে।

দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় দানের পরিমাণ জানা যাবে। দানবাক্স থেকে টাকা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা, রিয়েল, রিংগিত, ডলার পাওয়া গেছে। প্রতি তিনমাস পরপর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে পাঁচ মাস পর খোলা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। সে সময় ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এসব বস্তা থেকে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে গণনা শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টায়। গণনায় অংশ নেয় প্রায় ২০০ জনের একটি দল। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যায়।

তখন গণনায় ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩০জন শিক্ষার্থী, ৬০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা, ১০ জন শিক্ষক এবং ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলেন।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। আর সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন এখানে দান করে থাকে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে প্রাতরণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান মসজিদটির খতিব মাওলানা আশারফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারকচক্র বিভিন্নভাবে দানের টাকা পৌঁছে দেওয়া, মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা

পোষ্ট হয়েছে : ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

পাঁচ মাস পর ৯টি লোহার দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন মেঝেতে ঢেলে চলছে গণনা কার্যক্রম। গণনায় ৯৮ জন মাদ্রাসার ছাত্র ৯ জন শিক্ষক ৭০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেছে।

দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় দানের পরিমাণ জানা যাবে। দানবাক্স থেকে টাকা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা, রিয়েল, রিংগিত, ডলার পাওয়া গেছে। প্রতি তিনমাস পরপর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে পাঁচ মাস পর খোলা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। সে সময় ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এসব বস্তা থেকে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে গণনা শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টায়। গণনায় অংশ নেয় প্রায় ২০০ জনের একটি দল। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যায়।

তখন গণনায় ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩০জন শিক্ষার্থী, ৬০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা, ১০ জন শিক্ষক এবং ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলেন।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। আর সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন এখানে দান করে থাকে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে প্রাতরণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান মসজিদটির খতিব মাওলানা আশারফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারকচক্র বিভিন্নভাবে দানের টাকা পৌঁছে দেওয়া, মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।