শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
- পোষ্ট হয়েছে : ১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩১ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিব রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে লুৎফুল হাবিব রুবেলকে টেলিফোন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশসহ একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ লুৎফুল হাবিব রুবেলকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শনিবার (২০ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভার পর রুবেলকে প্রতিমন্ত্রী পলকের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ সংক্রান্ত লিখিতভাবে চূড়ান্ত নোটিশ রুবেলকে দেওয়া হবে। রুবেল দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক নির্দেশ দিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার আত্মীয় পরিচয় কাজে লাগাবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না- এ কথার গুরুত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক এই নির্দেশ দিয়েছেন লুৎফুল হাবিব রুবেলকে।
লুৎফুল হাবিব রুবেল প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগ ওঠায় লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া এ বিষয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
বিষয়টি জানতে লুৎফুল হাবিব রুবেলের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বিকেল ৪টার দিকে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে কয়েকজন যুবক প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর মুমূর্ষু অবস্থায় সিংড়ার সাঁঐল গ্রামে দেলোয়রকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে আসে। দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন দেলোয়ারের মেজ ভাই মজিবুর রহমান।