ঢাকা , মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

  • পোষ্ট হয়েছে : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৯ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক:জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে (৫৪) দুই দিনের রিমান্ড শেষে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ২১ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো আমিরুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় বোর্ডের পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সেহেলা পারভীনকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে আরও তিন লাখ টাকা দেন।

পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল সেহেলা পারভীনকে উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শামসুজ্জামানের কাছে থেকে তিন লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। তবে পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণের কথা এড়িয়ে যান। সেই সুযোগে আসামি শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশিতদের কাছে বিক্রি করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

পোষ্ট হয়েছে : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক:জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে (৫৪) দুই দিনের রিমান্ড শেষে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ২১ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো আমিরুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় বোর্ডের পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সেহেলা পারভীনকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে আরও তিন লাখ টাকা দেন।

পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল সেহেলা পারভীনকে উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শামসুজ্জামানের কাছে থেকে তিন লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। তবে পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণের কথা এড়িয়ে যান। সেই সুযোগে আসামি শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশিতদের কাছে বিক্রি করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করে।