ঢাকা , বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক

  • পোষ্ট হয়েছে : ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • / ২১ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার স্বার্থে আমরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াকে এখন গুজব ও অপপ্রচারের অস্ত্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাই সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন পলক।

পলক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিদেশ থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মিথ্যা-গুজব তথ্য বুস্ট করা হচ্ছিল। আমাদের দেশের তথা দেশের নাগরিকদের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।

পলক আশা করেন দ্রুত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, ‘যখন আইনশৃঙ্খলা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আমরা আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারব; খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংযোগ দেওয়া হবে।’

ফেসবুক আজ যোগাযোগ করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেই জায়গায় যে ধরনের ভূমিকা নেওয়া উচিত বা প্রয়োজন সেটি নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেটি আমাদের জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা নিয়ে আমি সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি। এজন্য সাময়িক কিছুটা ক্ষতি বা কষ্ট হতে পারে। তবে ফিজিক্যাল অ্যান্ড ডিজিটাল দুটোই আমাদের সমানভাবে বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আজকে ফেসবুকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারপরও আমরা খুব বেশি আশ্বস্ত বা আশাবাদী হতে পারছি না। কারণ তারা দুর্বল যুক্তি দেখাচ্ছে। সেগুলো কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের প্রাইভেসি পলিসি সেটিং আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। তারা দেশ ও ঘটনাভিত্তিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটা হতে পারে না। বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে যে দেশের যে আইন তা মানতে হবে। আমরা তাদের নির্দেশনা মানতে রাজি নই।’

পলক আরও বলেন, ‘ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব, গুগল আমাকে পার্সোনালি ও অফিসিয়ালি মেইল দিয়েছে। এদের কারণে কোনো ক্ষতি হয় তবে আমরা ছাড় দেবো না।’

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক

পোষ্ট হয়েছে : ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার স্বার্থে আমরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াকে এখন গুজব ও অপপ্রচারের অস্ত্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাই সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন পলক।

পলক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিদেশ থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মিথ্যা-গুজব তথ্য বুস্ট করা হচ্ছিল। আমাদের দেশের তথা দেশের নাগরিকদের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।

পলক আশা করেন দ্রুত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, ‘যখন আইনশৃঙ্খলা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আমরা আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারব; খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংযোগ দেওয়া হবে।’

ফেসবুক আজ যোগাযোগ করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেই জায়গায় যে ধরনের ভূমিকা নেওয়া উচিত বা প্রয়োজন সেটি নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেটি আমাদের জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা নিয়ে আমি সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি। এজন্য সাময়িক কিছুটা ক্ষতি বা কষ্ট হতে পারে। তবে ফিজিক্যাল অ্যান্ড ডিজিটাল দুটোই আমাদের সমানভাবে বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আজকে ফেসবুকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারপরও আমরা খুব বেশি আশ্বস্ত বা আশাবাদী হতে পারছি না। কারণ তারা দুর্বল যুক্তি দেখাচ্ছে। সেগুলো কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের প্রাইভেসি পলিসি সেটিং আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। তারা দেশ ও ঘটনাভিত্তিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটা হতে পারে না। বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে যে দেশের যে আইন তা মানতে হবে। আমরা তাদের নির্দেশনা মানতে রাজি নই।’

পলক আরও বলেন, ‘ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব, গুগল আমাকে পার্সোনালি ও অফিসিয়ালি মেইল দিয়েছে। এদের কারণে কোনো ক্ষতি হয় তবে আমরা ছাড় দেবো না।’