নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল : প্রধানমন্ত্রী
- পোষ্ট হয়েছে : ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
- / ৪৬ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা দেশে শ্রীলঙ্কা টাইপ তাণ্ডব সৃষ্টির চেষ্টা করতে চেয়েছিল এবং তারা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।
বুধবার (৩১ জুলাই) ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক আন্দোলন মোটেও স্বাভাবিক আন্দোলন নয়, বরং একপর্যায়ে তা প্রায় সন্ত্রাসী হামলায় পরিণত হয়। তারা (বিশৃঙ্খলাকারীরা) তো আসলে শ্রীলঙ্কার মতো সহিংসতা এবং সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।
প্রণয় ভার্মা সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, এ সময় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় শোক জানান। ধারাবাহিকভাব পরিথিি স্বাভাবিক হওয়া এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল হয়ে আসাকে স্বাগত জানান প্রণয় ভার্মা।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভিশন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেছে। যা অতীতের সুসম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে এবং ভবিষ্যতেও দু-দেশের সহযোগিতার একটা ব্লু-প্রিন্ট সৃষ্টি করেছে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, দুই দেশের যে জাতীয় ডেভেলপমেন্ট ভিশন ‘বাংলাদেশের ২০৪১ এবং ভারতের ২০৪৭’ ভিশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সহযোগিতার একটা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ডিজিটাল ও গ্রিন অংশীদারত্ব, স্যাটেলাইটের যৌথ উন্নয়ন, ব্লু ইকোনোমি, ওশানোগ্রাফি, ফিনটেকসহ নতুন নতুন বিষয়ে কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চার দেশের (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল ও ভুটান) মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়ন জোরালো করার জন্য আমার সব দরজা খোলা।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।