প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিলেন ড. ইউনূস
- পোষ্ট হয়েছে : ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ৪৬ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী এই সরকারে রয়েছেন আরও ১৬ উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবার (আগস্ট ০৮) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন—
১. অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল
৪. মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান
৫. সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ
৬. সাবেক পরাষ্ট্র তৌহিদ হোসেন
৭. পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৮. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম
৯. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
১০. সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা
১১. উন্নয়নকর্মী (উবিনীগ) ফরিদা আখতার
১২. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায়
১৩. চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক আ ফ ম খালিদ হোসেন
১৪. গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম
১৫. ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
এই ১৬ জনের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ও ফারুক-ই-আজম ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার পর দেশে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং একই দিন দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।