1. [email protected] : bijoy : bijoy Book
  2. [email protected] : News Room : News Room
  3. [email protected] : news uploader : news uploader
  4. [email protected] : prothombarta :
নর্থ সাউথের ৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ : এম এ কাশেমের জামিন বহাল
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১১ রাত

নর্থ সাউথের ৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ : এম এ কাশেমের জামিন বহাল

  • পোষ্ট হয়েছে : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: অর্থ আত্মসাতের মামলায় বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দুদকের জামিন বাতিল আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান তার জামিন বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ আদেশের ফলে এম এ কাশেমের কারামুক্তিতে কোনো বাধা রইল না।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। তবে আরেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন চেম্বার আদালত বহাল রাখেন।

দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ২২ মে আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে ওই দুইজনসহ চারজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

এর পরদিন নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পর থেকে তারা কারাগারে আছেন। পরে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।

সে আবেদনের শুনানির পর আদালত তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন; কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় তাতে। সে রুলটি নিষ্পত্তি করে গত ১০ নভেম্বর দেশের বাইরে এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না, এমন শর্তে তাদের জামিন দেন হাইকোর্ট।

পরে ১৩ নভেম্বর সকালে তাদের সে জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে দুদক। এরপর দুপুরে আবেদনের শুনানির পর রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখে এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করে আদালত।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে ছয় মামলা করে দুদক।

এতে আসামি করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তত্কালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

এরপর গত ২১ অক্টোবর ছয় আসামির সঙ্গে আরও তিনজনকে যুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক। এই তিন আসামি হলেন আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের জন্য কম দামে জমি কিনলেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোক দিয়ে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করেন। পরে এফডিআর ভেঙে টাকা আত্মসাৎ করেন। এই প্রক্রিয়ায় টাকা আত্মসাৎ করে তারা অর্থ পাচারের অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

Facebook Comments Box

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

print sharing button
এ বিভাগের অন্যান্য খবর