ভোলায় নতুন কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা
- পোষ্ট হয়েছে : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৩২ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপজেলা ভোলায় সাতটি গ্যাস কূপের পর এবার অষ্টম কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বাপেক্স।
সোমবার সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ভোলা নর্থ-২ নামে নতুন এই কূপে পরীক্ষা মূলকভাবে আগুন প্রজ্জলন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাপেক্সর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, এ কূপটিতে ৩ হাজার ৫২৮ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বর্তমানে পরীক্ষার জন্য আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পর মজুদের বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
নতুন পাওয়া কূপটি হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার দ্বিতীয় কূপ এবং জেলায় অষ্টম কূপ। ফলে ভোলা সদরের ২টি কূপের প্রতিটি থেকে দৈনিক ৪০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছে বাপেক্স।
বাপেক্স কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন নতুন কূপ খননের ফলে গ্যাসের মজুদ বাড়ছে। একই সঙ্গে সন্ধান করা হচ্ছে নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের। এ ছাড়াও ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় গ্যাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত করতে সিসিমিক জরিপ শুরু করা হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে। কিছুদিন আগে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী বাপেক্স নিয়ন্ত্রিত গ্যাস কূপ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। বাপেক্সের তত্বাবধানে এ সব কূপ খনন ও জরিপ হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এর আগের ৭টি কূপে প্রায় দুই ট্রিলিয়নের বেশি ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। গত মাসে টবগী-২ কূপ খনন শেষে মজুদ গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। বর্তমানে কেবল ৪টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। প্রতিদিন ১৪০ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা গেলেও এর সম্পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। বর্তমানে ৪টি বিদ্যুৎ প্লান্টসহ ক্ষুদ্র কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। এতে মাত্র ৮০ এমএমসিএফ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে দৈনিক ৪৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এদিকে গ্যাসের মজুদ থাকলেও আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। ভোলায় গ্যাসের মজুদ থাকায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান শিল্পায়নের কাজ শুরু করেছেন। অনেকে জমি গ্রহণ করেছেন। ওই সব প্রতিষ্ঠানও ইতিমধ্যে গ্যাসের জন্য আবেদন করেন। এ ছাড়া আবাসিক সংযোগের জন্য প্রায় দুই হাজার আবেদন ঝুলে আছে। নতুন গ্যাস সংযোগের জন্য গত সপ্তাহেও জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ‘ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ চাই’ সংগঠনের পক্ষ থেকে।