ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবদুস সাত্তার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৮ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।

 

প্রথমে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পরে তার ভাতিজা আক্তার হোসেনের হাত ধরে তিনি ভোট কেন্দ্রে যান। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

 

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৬ নম্বর পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথে ভোট দেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।

 

ভোট দেওয়া শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘ইভিএম এ ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। জয় লাভ করলে এলাকার যে সমস্ত কাজ বাকী এগুলো সমাপ্ত করব ইনশাআল্লাহ।’

 

এদিকে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে জয়ী করতে মরিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার মধ্য রাত থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হলেও থেমে নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে নীরব প্রচারণা। ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

 

সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলায় ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ৪৮টিসহ মোট ১৩২ ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, র‌্যাবের ১০টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন আছে। এর মধ্যে ১২ জন আনসার, দুইজন গ্রামপুলিশ ও ৩ জন পুলিশ সদস্য। ভোটের আগে ও পরে তারা ৩ দিন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।

 

এছাড়াও ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ১০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। সরাইল ও আশুগঞ্জ ২ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।

 

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

আবদুস সাত্তার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত

পোষ্ট হয়েছে : ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।

 

প্রথমে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পরে তার ভাতিজা আক্তার হোসেনের হাত ধরে তিনি ভোট কেন্দ্রে যান। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

 

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৬ নম্বর পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথে ভোট দেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।

 

ভোট দেওয়া শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘ইভিএম এ ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। জয় লাভ করলে এলাকার যে সমস্ত কাজ বাকী এগুলো সমাপ্ত করব ইনশাআল্লাহ।’

 

এদিকে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে জয়ী করতে মরিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার মধ্য রাত থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হলেও থেমে নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে নীরব প্রচারণা। ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

 

সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলায় ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ৪৮টিসহ মোট ১৩২ ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, র‌্যাবের ১০টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন আছে। এর মধ্যে ১২ জন আনসার, দুইজন গ্রামপুলিশ ও ৩ জন পুলিশ সদস্য। ভোটের আগে ও পরে তারা ৩ দিন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।

 

এছাড়াও ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ১০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। সরাইল ও আশুগঞ্জ ২ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।

 

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।