হাত আছে পুতিনের ইউক্রেনে এমএইচ-১৭ ভেঙে পড়ায়
- পোষ্ট হয়েছে : ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪৯ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: ২০১৪ সালে ইউক্রেনে মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ-১৭ ভেঙে পড়ার পেছনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত আছে। এমনটাই বলছেন তদন্তকারীরা। খবর বিবিসির।
তদন্তকারীদের দাবি, পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওই বিমানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শক্ত যুক্তি প্রমাণের অভাবে এটা প্রমাণ করতে পারেননি আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আদৌ ওই ঘটনার পেছনে রয়েছেন কিনা, তার সঠিক তথ্য প্রমাণ উঠে আসেনি। তবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি থেকে একাধিক আভাস পাওয়া যায়।
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে এ দুর্ঘটনার মামলায় পুতিনের অপরাধী হওয়ার কোনো শক্তিশালী প্রমাণ নেই। তাই তারা এ বিষয়ে আর কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান না। ফলে তদন্ত কাজ শেষ হচ্ছে।
এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল, মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ-১৭ এর দুর্ঘটনায় তাদের কোনো হাত নেই। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার ওই বিমান দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।
ইউক্রেনের ওপর দিয়ে বিমানটি যাওয়ার সময় বিমানটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২২ সালে ওই দুর্ঘটনার মামলায় নেদারল্যান্ডসের আদালতে ২ রাশিয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই মামলায় ১ জন ইউক্রেনের বাসিন্দাকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই নেদারল্যান্ডস থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে পূর্ব ইউক্রেনে ২৯৮ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমান ফ্লাইট এমএইচ-১৭। বিমানের নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ডাচ নাগরিক। বাকিরা ব্রিটিশ নাগরিক।
২০১৪ সালে ওই ঘটনার সময়ই বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্টে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নাম উঠে আসে বিমান দুর্ঘটনার মামলায়। এদিকে নেদারল্যান্ডসের আদালতে যে অভিযুক্তদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ জন রুশ গুপ্তচর রয়েছেন বলে জানা গেছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১ জন ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার বাক মিসাইল দিয়ে ওই বিমানকে ধ্বংস করে নামানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের যেদিন ওই বিমান ভেঙে পড়ে, সেদিন দোনেৎস্কে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়ছিল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এদিকে ন্যাটোতে যোগদান ও ক্রিমিয়া দখলকে কেন্দ্র করে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের এক বছর পার হয়েছে। এছাড়া সেই সময়ে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের বিপক্ষে গিয়েছিল তাদের প্রতি জোরালো সমর্থন ছিল পুতিনের বলে বহু তথ্য উঠে আসে।
এসব ঘটনার অনেক ফোন রেকর্ড পায় তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যায়, ফোনে অস্ত্র সামগ্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে পুতিনের অনুমোদন দাবি করা হচ্ছে। তবে সমস্ত তথ্যের পরও ওই বিমান দুর্ঘটনায় পুতিনের সম্পৃক্ত থাকার শক্তিশালী তথ্য প্রমাণ মেলেনি।