ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন এত ভবনধস তুরস্কে

  • পোষ্ট হয়েছে : ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেশির ভাগ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যেগুলো রয়ে গেছে তার অবস্থায়ও করুণ। নিজেদের থাকার জায়গাটুকু হারিয়ে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 

কিন্তু কেন তুরস্কে ভবন ধ্বংস এত বিপর্যয়কর ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঠামোগত দুর্বলতাই এই ভূমিকম্পে এত বিপর্যয় ও প্রাণহানির মূল কারণ।

 

তারা আরও জানান, অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী ও শহুরে ডিজাইনাররা যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কম্পনগুলো তার চেয়েও শক্তিশালী ছিল। স্কাই নিউজ। প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, তুরস্কের যে ইমারত বিধি অনুসরণ করে ভবনগুলো নির্মিত হয়েছে, সোমবারের ৭.৮ মাত্রার এই ভূ-কম্পন সেই সহনশীলতাকে অতিক্রম করেছে।

 

এদিকে কিছু সেন্সর পিক গ্রাউন্ড অক্সিলারেশন রেকর্ড করেছে যে, ভূমিকম্পের শক্তির একটি মূল পরিমাপ প্রতি সেকেন্ড ৭ মিটারের বেশি ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মান এই অঞ্চলগুলোতে ঘটতে পারে এমন পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে।

 

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক ইয়াসেমিন দিদেম আকতাস বলেছেন, এমনকি খুব ভালো নকশা করা, খুব ভালোভাবে সঞ্চালিত বিল্ডিংগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবং চ্যালেঞ্জ করা হতো। কিন্তু এটিও উড়িয়ে দেয় না যে ভবনগুলো আমরা ধসে পড়তে দেখেছি তা ত্রুটি ও সমস্যাযুক্ত ছিল। গাজিয়ানতেপের বাইরেও এর প্রমাণ দেখা যায়।

 

কম্পনকেন্দ্র থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের অনেক ভবনেও বিপর্যয় দেখা গেছে। কারণ নির্মাণ মডেলিংয়ের সহ্যক্ষমতার চেয়েও আঘাত হানা ভূমিকম্প ১০ গুণ তীব্র ছিল।

 

ভবন ধ্বংস বিপর্যয়ের আরও একটি কারণ ছিল যে, সেখানে শুধুমাত্র একটি নয় দুটি কম্পন হয়, প্রথম কম্পনটির ৯ ঘণ্টা পর আরও একটি ৭.৫ মাত্রার আফটার শক অনুভূত হয়।

 

যার কারণে প্রথম শক থেকে বেঁচে যাওয়া ভবনগুলোর বেশির ভাগই পরেরটিতে ধসে পড়ে। যেগুলো রয়ে গেছে সেগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় হাজার হাজার বেঁচে থাকা মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

ট্যাগ :

শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন

কেন এত ভবনধস তুরস্কে

পোষ্ট হয়েছে : ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক: তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেশির ভাগ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যেগুলো রয়ে গেছে তার অবস্থায়ও করুণ। নিজেদের থাকার জায়গাটুকু হারিয়ে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 

কিন্তু কেন তুরস্কে ভবন ধ্বংস এত বিপর্যয়কর ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঠামোগত দুর্বলতাই এই ভূমিকম্পে এত বিপর্যয় ও প্রাণহানির মূল কারণ।

 

তারা আরও জানান, অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী ও শহুরে ডিজাইনাররা যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কম্পনগুলো তার চেয়েও শক্তিশালী ছিল। স্কাই নিউজ। প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, তুরস্কের যে ইমারত বিধি অনুসরণ করে ভবনগুলো নির্মিত হয়েছে, সোমবারের ৭.৮ মাত্রার এই ভূ-কম্পন সেই সহনশীলতাকে অতিক্রম করেছে।

 

এদিকে কিছু সেন্সর পিক গ্রাউন্ড অক্সিলারেশন রেকর্ড করেছে যে, ভূমিকম্পের শক্তির একটি মূল পরিমাপ প্রতি সেকেন্ড ৭ মিটারের বেশি ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মান এই অঞ্চলগুলোতে ঘটতে পারে এমন পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে।

 

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক ইয়াসেমিন দিদেম আকতাস বলেছেন, এমনকি খুব ভালো নকশা করা, খুব ভালোভাবে সঞ্চালিত বিল্ডিংগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবং চ্যালেঞ্জ করা হতো। কিন্তু এটিও উড়িয়ে দেয় না যে ভবনগুলো আমরা ধসে পড়তে দেখেছি তা ত্রুটি ও সমস্যাযুক্ত ছিল। গাজিয়ানতেপের বাইরেও এর প্রমাণ দেখা যায়।

 

কম্পনকেন্দ্র থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের অনেক ভবনেও বিপর্যয় দেখা গেছে। কারণ নির্মাণ মডেলিংয়ের সহ্যক্ষমতার চেয়েও আঘাত হানা ভূমিকম্প ১০ গুণ তীব্র ছিল।

 

ভবন ধ্বংস বিপর্যয়ের আরও একটি কারণ ছিল যে, সেখানে শুধুমাত্র একটি নয় দুটি কম্পন হয়, প্রথম কম্পনটির ৯ ঘণ্টা পর আরও একটি ৭.৫ মাত্রার আফটার শক অনুভূত হয়।

 

যার কারণে প্রথম শক থেকে বেঁচে যাওয়া ভবনগুলোর বেশির ভাগই পরেরটিতে ধসে পড়ে। যেগুলো রয়ে গেছে সেগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় হাজার হাজার বেঁচে থাকা মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।