তিন খাতে পতনেও দর বেড়েছে
- পোষ্ট হয়েছে : ০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪১ বার দেখা হয়েছে
প্রথমবার্তা, প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল।
পতনেও তিন খাতে শেয়ারদর বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। খাতটিতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চাপ ছিল। ফলে আলোচিত খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দিক দিয়ে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড ও ট্যানারি খাত। অপরদিকে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের ১টির দাম বেড়েছে এবং ১টি বাদে বাকি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিউচুয়াল ফান্ড এবং ট্যানারি খাতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ করে। এর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতটিতে মোট ৩৭টি ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টির ইউনিট দর বেড়েছে এবং ২টির ইউনিট দর কমেছে আর বাকি ইউনিটের দর অপরিবর্তিত ছিল।
অপরদিকে ট্যানারি খাতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, সিমেন্ট ও বস্ত্র খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে ভ্রমণ খাতে। এ খাতে ৪ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমে সেবা ও আবাসন খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল।
শেয়ারদর কমার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। খাতটিতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ২ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে চতুর্থ স্থানে ছিল সিরামিক খাতের শেয়ার।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর লেনদেন কমে সাড়ে চারশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন কমে ৮ কোটি টাকার ঘরে এসেছে। ডিএসইতে ১৬৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
১১টির বেড়েছে। সিএসইতে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ১৮টির বেড়েছে। ডিএসইতে ৪৭০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে পৌঁছায় ৬ হাজার ২৫৬ দশমিক ১৫ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস সূচক ৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১টির এবং কমেছে ১৬৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪৬টির।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ১৪ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৬৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪২টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৭৮ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে।